শুক্রবার
দুপুরে উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের তেয়াশিয়া গ্রামে এ ঘটনার পর বাবলু প্রমানিক (৪৩) নামের
ওই তাঁত শ্রমিকের মৃত্যু হয় বলে চিকিৎসক ও স্বজনরা জানিয়েছেন।
নিহত ব্যক্তি
তেয়াশিয়া দক্ষিণপাড়ার আব্দুস সাত্তার প্রমানিকের ছেলে।
আহতদের
মধ্যে ছয় জনকে সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি
করা হয়েছে।
তারা হলেন-
নিহতের ছোট ভাই বাবু প্রমানিক (৪৩), তার স্ত্রী শাবানা খাতুন (৩৫), ছেলে নবম শ্রেণির
ছাত্র সিয়াম (১৩), নিকট আত্বীয় মুসা প্রমানিক (৬০), নাজমুল (১৮) ও রুমানা খাতুন (৪৮)।
সিরাজগঞ্জ
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শামীমুল
ইসলাম জানান, হাসপাতালে পৌঁছার আগেই বাবলু প্রমানিক মারা গেছেন। তার মাথার দুটি স্থানে
জখম ও একটি স্থানে ছিদ্র পাওয়া গেছে।
“আহতদের
মধ্যে ছয়জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এদের মধ্যে শাবানা ও নাজমুলের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
নিহতের লাশ হাসপাতাল মর্গে রয়েছে।“
বেলকুচি
থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আসলাম হোসেন রাত ১২টার দিকে জানান, সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল
পরিদর্শন করেছে। এখনও কেউ আটক হয়নি। স্বজনরা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
স্থানীয়দের
অভিযোগ, মসজিদের মধ্যে মুসা প্রমানিক (৬০) নামে এক ব্যক্তিকে মারপিট করা নিয়ে এ ঘটনার
সূত্রপাত হয়। মাথায় আঘাত নিয়ে তিনিও হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
মুসা প্রমানিকের
অভিযোগ, পূর্ব শক্রতার জের ধরে তিন মাস আগে দক্ষিণপাড়া গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে দুটি
পক্ষ তৈরি হয়। তবে উভয় পক্ষই দক্ষিণপাড়া জামের মসজিদে নামাজ পড়েন। শুক্রবার জুম্মা
নামাজ শেষে মসজিদের ইমামের তারাবির নামাজের হাদিয়া নির্ধারণ নিয়ে তর্কবিতর্কের পর তা
মারামারিতে গড়ায়। তিনি মারধরের জন্য নুর আলম মাস্টারকে দায়ি করেন।
নিহতের
ছোট ভাইয়ের স্ত্রী শাবানা খাতুনের অভিযোগ, মসজিদের মধ্যে মারপিটের সংবাদ পেয়ে পরিবারের
লোকজন মিলে আমরা সেখানে যাই। মুসা প্রমানিককে মারপিটের পর নুর আলম মাস্টার বাড়ি ফিরে
গিয়ে আরো লোকজন নিয়ে এসে আমাদেরকে বেধড়ক মারপিট শুরু করেন। এসময় দেশি অস্ত্র ও লাঠির
আঘাতে নারী, পুরুষ ও শিশু মিলে অন্তত: ১০/১২ জন আহত হয়েছে।
মাস তিনেক
আগে বিয়ে নিয়ে এ দুই পক্ষের মধ্যে বিভেদ দেখা দেয় জানিয়ে নিহতের ভাতিজা বাবুল প্রমানিক
জানান। স্থানীয় একজন ইউনিয়ন মেম্বার এসময় এক পক্ষ নেন। তার অভিযোগ, পরিকল্পিতভাবে এ
হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে।
এ বিষয়ে
নুর আলম মাস্টারের বক্তব্য জানা যায়নি।