মঙ্গলবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে
যুক্ত হয়ে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের জেলাগুলোর কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলার এক পর্যায়ে
তিনি নিজেই এতথ্য জানান।
করোনাভাইরাস মোকাবেলায় নোয়াখালীর কর্মকর্তাদের
নির্দেশনা দিতে গিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “আমাদের সাথে অবশ্য মন্ত্রী থাকতে পারতো। কিন্তু
তাকে আমি বাসা থেকে বের হতে মানা করে..তাকে বের হতে মানা করেছি। কোথাও না যেতে ওবায়দুল কাদেরকে।’
গত বছরের মে মাসে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা
শেষে আড়াই মাস পর দেশে ফেরেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
৬৭ বছর বয়সী ওবায়দুল কাদের হৃদরোগ,
ডায়াবেটিস ছাড়াও শ্বাসতন্ত্রের জটিল রোগ সিওপিডিতে (ক্রনিক অবসট্রাকটিভপালমোনারি ডিজিজ)
ভুগছিলেন।
গত ২ মার্চ সকালে শ্বাসকষ্ট নিয়ে ঢাকার
বিএসএমএমইউতে ভর্তি হলে এনজিওগ্রামে কাদেরের হৃদপিণ্ডের রক্তনালীতে তিনটি ব্লক ধরা
পড়ে। এর মধ্যে একটি ব্লক স্টেন্টিংয়ের মাধ্যমে অপসারণ করেন চিকিৎসকরা।
অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল হলে উন্নত
চিকিৎসার জন্য গত ৪ মার্চ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। ভর্তি
করা হয় মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে।
কয়েকদিন চিকিৎসার পর অবস্থার উন্নতি
হলে গত ২০ মার্চ কার্ডিও থোরাসিক সার্জন ডা. শিভাথাসান কুমারস্বামীর নেতৃত্বে কাদেরের
বাইপাস সার্জারি হয়। ছয় দিন পর তাকে আইসিইউ থেকে স্থানান্তর করা হয় কেবিনে।
এক মাস পর হাসপাতাল ছাড়লও চিকিৎসকরা
‘চেকআপের জন্য’ আরও কিছু দিন তাকে সিঙ্গাপুরে থাকার পরামর্শ দেন। এরপর একটি বাসা ভাড়া
করে সিঙ্গাপুরে অবস্থান করেন ওবায়দুল কাদের।