ক্যাটাগরি

সাংহাইয়ে কোভিডে একদিনে ১২ মৃত্যু, বাড়ছে ক্ষোভ

আগের দিন বৃহস্পতিবার
তারা কোভিড
সংশ্লিষ্ট ১১ জনের মৃত্যুর কথা
নিশ্চিত করেছিল।

সাংহাইয়ের কর্তৃপক্ষের দেওয়া
তথ্য অনুযায়ী,
শুক্রবার শহরটিতে
উপসর্গযুক্ত ২ হাজার ৭৩৬ জন নতুন রোগী এবং উপসর্গবিহীন ২০ হাজার
৬৩৪ জন নতুন সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবারের চেয়ে
শনাক্তের এ
সংখ্যা অনেকটা
বেশি।

সংক্রমণ, মৃত্যুর এ
ঊর্ধ্বগতির পাশাপাশি কড়া লকডাউন ও
অনলাইনে কঠোর
সেন্সরশিপ শহরটির বাসিন্দাদের ক্ষোভ বাড়াচ্ছে
বলে জানিয়েছে
বার্তা সংস্থা
রয়টার্স।

শুক্রবার যে ১২
জনের মৃত্যুর
খবর জানা
গেছে, তাদের
গড় বয়স
ছিল ৮৮;
তারা নানান
জটিল রোগে
ভুগছিলেন এবং
কেউই টিকা
নেননি বলে জানিয়েছে সাংহাইয়ের স্থানীয় সরকার।

কোভিড মোকাবেলায় লকডাউনে
থাকা সাংহাইয়ের আবাসিক এলাকাগুলোর
বাসিন্দাদের হতাশা ও ক্ষোভ বাড়লেও
কোয়ারেন্টিন এলাকার বাইরে কোভিড রোগী
শূন্যে নামিয়ে
আনা পর্যন্ত
বিধিনিষেধ শিথিল না করার ব্যাপারে
অটল রয়েছেন
স্থানীয় কর্মকর্তারা।

“সময় যত সংকটাপন্ন
হয়ে উঠবে,
ততই দাঁত
কামড়ে থেকে
আমাদের নিজেদের
শক্তির দিকে
মনোযোগী হতে
হবে,” শুক্রবার
সাংহাই সরকারের
উইচ্যাট চ্যানেলে
বলেছেন নগরীর মেয়র গং ঝেং।

শুক্রবার কোয়ারেন্টিন এলাকার
বাইরে রোগী
সংখ্যা নেমে
২১৮তে দাঁড়িয়েছে,
আগের দিন
এই সংখ্যা
২৫০ ছিল।

সাংহাইয়ের পুরো শহরের
লকডাউন শুরু
হয় এপ্রিলের
প্রথম দিকে,
যদিও অনেক
বাসিন্দা আরও
আগে থেকেই
গৃহবন্দি হয়ে
আছেন। 

অনেক কম্পাউন্ড ৩০
দিনের বেশি
সময় ধরে
বন্ধ থাকলেও
সেগুলো থেকে
এখনও নতুন
রোগী মিলছে,
যা চীনের
কোভিড নিয়ন্ত্রণের
পদক্ষেপের কার্যকারিতাকে প্রশ্নবিদ্ধ
করছে বলে
জানিয়েছে রয়টার্স।

শুক্রবার চীনের রোগ
প্রতিরোধ ও
নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র প্রকাশিত এক গবেষণায়
উত্তরপূর্ব জিলিন শহরের চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা
বলেছেন, চীনের
বানানো টিকাগুলো
এখন পর্যন্ত
কার্যকর প্রমাণিত
হয়েছে, তবে
কোভিডের নতুন
ধরনগুলোর ক্ষেত্রে
কী ঘটে,
তা এখনও
অনিশ্চিত।

চীন এখন পর্যন্ত
কোভিড মোকাবেলায়
তাদের নিজস্ব
কোনো এমআরএনএ
টিকা আনেনি;
অন্য দেশে
বানানো এমআরএনএ
টিকা আমদানিতেও
রাজি নয়
তারা।

আরও খবর:

কোভিড-১৯: চীনের সাংহাইয়ে ৩ জনের
মৃত্যু