৪৭ প্রদেশের মধ্যে রাজধানী টোকিওসহ ৭ প্রদেশ আগামী ৬ মে পর্যন্ত জরুরি অবস্থার আওতায় থাকবে।
মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে এ ঘোষণা দেন।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা দ্রুত বাড়তে থাকায় সোমবার থেকেই জরুরি অবস্থা জারির প্রস্তুতি নিচ্ছিল জাপান।
সংবাদ সম্মেলনে শিনজো আবে বলেন, দেশজুড়ে করোনাভাইরাসের প্রকোপ আমাদের জীবনযাত্রা ব্যাহত করেছে। অনেক প্রাণহানিও ঘটাচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমি সংবিধানের সংশোধিত অধ্যাদেশ ৫২/১ ধারা অনুযায়ী, সাতটি প্রদেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করছি।
জরুরি অবস্থার মধ্যে যেসব প্রদেশ এসেছে সেগুলো হল, টোকিও, ওসাকা, চিবা, কানগাওয়া, হিয়োগো, সায়তামা এবং ফুকোওয়াকা।
জাপানের প্রধানমন্ত্রীর জরুরি অবস্থা ঘোষণার ক্ষমতা ছিল না। গত মাসে সংসদে এক বিলে জরুরি অবস্থা জারির বিল পাস হয়। এরপরই সরকার দেশের প্রয়োজনে এ ঘোষণা দিতে পারবেন বলে রায় পায়।
এর প্রেক্ষিতে সোমবার থেকেই দফায় দফায় মন্ত্রী ও বিশেষজ্ঞ প্যানেলের সাথে বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে।
সাংবাদিকদের তিনি বলেন, জরুরি অবস্থার পর স্থানীয় প্রাদেশিক প্রশাসন তা বাস্তবায়নের অধিকার পাবে। তারা জনগণের সুবিধার কথা বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ পাবেন।
তিনি আরো বলেন, এ সময়ের মধ্যে আমরা অনুরোধ করব লোকজনকে ঘরে অবস্থান করতে। ট্রেন বন্ধ কিংবা এর সিডিউল কমানোর সিদ্ধান্ত তার সরকারের হাতে নেই। এটি ট্রেন কর্তৃপক্ষ দেখবে।
জাপানে জরুরি অবস্থা জারি হলেও লকডাউনের কোন পরিকল্পনা জাপান সরকারের নেই।
দেশটির সাংবাধানিকভাবে জনগণের স্বাধীনতাকে সর্বাধিক অধিকার দেয়া হয়েছে। অন্যদেশের মত কেউ বাইরে গেলেও কোন জরিমানা করার বিধান আপাতত নতুন এ আইনে নেই।
জাপানে মঙ্গলবার পর্যন্ত ৪ হাজার ১০০ জন আক্রান্ত হয়েছে আর মারা গেছে ৯৩ জন।
চীনের পরই গত জানুয়ারি থেকে জাপানে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। এরপর তা কিছুটা ধীর গতিতে ছিল।
গত ২৪ মার্চ টোকিও অলিম্পিক গেমস স্থগিত হওয়ার আগে দেশটিতে মোট আক্রান্তর সংখ্যা এক হাজারের নীচে ছিল।
কিন্তু সম্প্রতি দিনে ব্যাপক হারে করোনাভাইরাস সংক্রমণের খবর আসার পর জনমনে শঙ্কা তৈরি হওয়ায় সরকার এ সিদ্ধান্ত নিল।