মঙ্গলবার শহরের বিভিন্ন মসজিদ ঘুরে দেখা গেছে- এখনও অনেকেই মসজিদে আসছেন নামাজ আদায় করতে। যদিও ইমামরা সরকারের নির্দেশনা মেনে বাড়িতে নামাজ পড়ার জন্য তাদের উদ্বুদ্ধ করছেন।
জোহরের নামাজের সময় শহরের চকবাজার জামে মসজিদের মূল ভবন বন্ধ দেখা গেছে; ভেতরে ‘হাতেগোনা’ কয়েকজন ছিলেন।
তবে শহরের সদর হাসপাতাল জামে মসজিদে কিছুটা ‘ভিড়’ দেখা গেলেও লোকজন আগের চাইতে কম বলে ইমাম হাফেজ মাওলানা আব্দুর রবের ভাষ্য।
তিনি বলেন, “আগে মসজিদে নামাজের সময় ২০০ জনের মত আসতো। আজকে ১৫ থেকে ২০ জনের আসছে। আমারা মুসল্লিদের জানিয়ে দিয়েছি, তারা যেন বাসায় নামাজ পড়ে।”
শহরের আলিপুর জামে মসজিদের সামনে জোহরের নামাজের অপেক্ষায় কয়েকজনকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। সেখানে কথা কথা হয় মসজিদের মোয়াজ্জিন হাফেজ মো. আব্দুল্লাহ সঙ্গে।
তিনি বলেন, “আমরা ইসলামিক ফাউন্ডেশন ও ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মুসল্লিদের বোঝানোর চেষ্টা করছি। তবে অনেক আবেগি মুসল্লি সেটা মানতে নারাজ।”
লোকজনের উপস্থিতি কম ছিল শহরের চৌরঙ্গি জামে মসজিদে। সেখানে স্থানীয়রা জানান, নিজেদের ও দেশবাসীর সুরক্ষার কথা বিবেচনা করেই তারা এখন বাসাতে পরিবারের সঙ্গে নামাজ আদায় করছেন।
এছাড়া শহরের পূর্ব খাবাসপুর জামে মসজিদ, সদর উপজেলা জামে মসজিদ ও রাজেন্দ্র কলেজ জামে মসজিদেও লোকজন আগের চাইতে কম দেখা গেছে।
জেলার পুলিশ সুপার মো. আমিমুজ্জামান বলেন, তারা ইমাম কল্যান ফাউন্ডেশন জেলা ও উপজেলা শাখার নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে বর্তমান পরিস্থিতি বোঝানোর চেষ্টা করেছেন। ধর্ম মন্ত্রণালয় আর ইসলামি ফাউন্ডেশনের নির্দেশ মোতাবেক তাদের মজজিদ পরিচালনা করতে বলা হয়েছে।