শুক্রবার দুপুরে উপজেলার চকমনোহরপুর গ্রামে
এ সংঘর্ষের পর শনিবার ভোরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই ব্যক্তি মারা যান বলে সলঙ্গা
থানার ওসি আব্দুল কাদের জিলানী জানান।
নিহত খোরশেদ আলম (৬৫) উপজেলার চকমনোহরপুর
গ্রামের মৃত কছিম উদ্দিনের ছেলে।
নিহতের ছোট ভাই মন্টু মিয়া অভিযোগ করে বলেন,
খোরশেদের সঙ্গে গ্রামের আক্তার হোসেনের পূর্ববিরোধ ছিল। জুমার নামাজ শেষে ইমামের বেতনের
টাকা তোলা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে মসজিদের মধ্যেই উভয় পক্ষ
সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
“এরপর মসজিদ থেকে বের হয়ে আসার পথে আক্তার
হোসেন ও তার সমর্থকরা খোরশেদ আলমকে বেধড়ক মারধর করে। বাধা দিতে গেলে মারধরে আরও চার-পাঁচজন
আহত হয়।”
আহতদের উদ্ধারের পর সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ
ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার
ভোরে খোরশেদ আলমের মৃত্যু হয়।
ওসি আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, খোরশেদের
স্ত্রী মঞ্জুয়ারা বেগম বাদী হয়ে শনিবার সকালে ১১ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন।
দুপুরে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তারা হলেন মামলার এজাহারভুক্ত আসামি চকমনোহরপুর
গ্রামের ইউসুফ আলী ও ওমর ফারুক শিশির।
বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। মৃতদেহ
ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে রয়েছে।