শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে জেলার সদর
উপজেলার চিলারং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী বলেন, প্রথমে আড়াই বছরের শিশুসহ
স্বামী (৩০) ও স্ত্রী (২৪) আক্রান্ত হয়। পরে ওই শিশুটির ছোট চাচা (২৫) ও তার স্ত্রী
(২০) একই সমস্যায় পড়েন।
চেয়ারম্যান বলেন, “বুকের প্রচণ্ড
ব্যথায় আক্রান্ত ব্যক্তিরা ছটফট করছিল। এছাড়াও তাদের জ্বর, সর্দি ও কাশি রয়েছে।”
বিকালে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতাল
থেকে একটি মেডিকেল টিম, সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন ঘটনাস্থলে
আসেন। এরপর তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে আক্রান্ত পাঁচজনকে অ্যাম্বুলেন্সে করে
হাসপাতালে নিয়ে যান বলে জানান চেয়ারম্যান।
“এর ঘটনার পর থেকে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে
পড়েছে।”
ঠাকুরগাঁওয়ে ‘জ্বর-শ্বাসকষ্টে’ ভুগছে এক পরিবারের সবাই
ঠাকুরগাঁওয়ের সিভিল সার্জন ডা. মাহফুজার
রহমান সরকার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও পাতলা পায়খানা রোগে
আক্রান্ত পাঁচজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
“প্রাথমিকভাবে স্বাস্থ্য পরীক্ষা
শেষে আইইডিসিআর-এর সাথে যোগাযোগ করা হয়। আইইডিসিআর-এর নির্দেশ অনুযায়ী উন্নত চিকিৎসার
জন্য সন্ধ্যায় তাদেরকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।”
আক্রান্ত ব্যক্তিদের লক্ষণ দেখে করোনাভাইরাসে
আক্রান্ত মনে হচ্ছে কি না এমন প্রশ্নে সিভিল সার্জন বলেন, স্বাভাবিকভাবে যেমন জ্বর,
সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট হয় এমনি মনে হচ্ছে।
“যদি করোনাভাইরাসের কোনো সংক্রমণ
থেকে থাকে সেটি আরও পরীক্ষা-নীরিক্ষা শেষে নিশ্চিত করে বলা যাবে।”