এমিরেটস স্টেডিয়ামে শনিবার প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচের ৩২ মিনিটের মধ্যে দুই গোল খেয়ে বসে ইউনাইটেড। কোণঠাসা হয়ে পড়া দলকে দারুণ নৈপুণ্যে ৩৪তম মিনিটে লড়াইয়ে ফেরান রোনালদো।
বাঁ দিক থেকে নেমানিয়া মাতিচ ক্রস বাড়ান ডি-বক্সে। ছয় গজ বক্সের মুখে সঙ্গে লেগে থাকা দুই খেলোয়াড়ের সামনে থেকে শটে প্রিমিয়ার লিগে নিজের শততম গোলটি করেন পাঁচবারের বর্ষসেরা ফুটবলার।
মাইলফলক ছোঁয়া গোলটি উৎসর্গ করেন কদিন আগে হারানো সন্তানকে। গত সোমবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রোনালদো জানান নবজাতক যমজ সন্তানের মধ্যে ছেলেকে হারানোর দুঃসংবাদ। পরদিন লিভারপুলের বিপক্ষে ম্যাচে ছিলেন না তিনি।
তবে ধুঁকতে ধাকা দলের প্রয়োজনে চরম পেশাদারিত্বের নিদর্শন রেখে তিন দিন বাদেই অনুশীলনে ফেরেন পর্তুগাল অধিনায়ক। ম্যাচে ফিরে পেয়ে গেলেন গোলও।
গোল করার পর তার সেই ট্রেডমার্ক উদযাপনের কিছুই দেখা যায়নি। কেবল তাকান ওপরের দিকে, উঁচিয়ে ধরেন আঙুল। নিশ্চয়ই ছেলেকে স্বরণ করেন তিনি।
এই গোলেও পরিসংখ্যানের পাতায় বেশ কিছু পরিবর্তন এসেছে।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের চতুর্থ খেলোয়াড় হিসেবে প্রিমিয়ার লিগে ১০০ গোল করলেন রোনালদো। আগের তিন জন হলেন- ওয়েইন রুনি (১৮৩), রায়ান গিগস (১০৯) ও পল স্কোলস (১০৭)।
সব মিলিয়ে ৩৩তম ও পর্তুগালের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে এই মাইলফলক স্পর্শ করলেন তিনি।
ইংল্যান্ডের শীর্ষ লিগে রোনালদোর প্রথম গোলটি ছিল ২০০৩ সালের ১ নভেম্বর, পোর্টসমাউথের বিপক্ষে। প্রিমিয়ার লিগে কোনো খেলোয়াড়ের প্রথম ও শততম গোলের মাঝে সবচেয়ে বড় ব্যবধান এটিই (১৮ বছর ১৭৩ দিন)। আগের রেকর্ড ছিল গিগসের (১৭ বছর ৯১ দিন)।
একই সঙ্গে প্রিমিয়ার লিগে সবচেয়ে বেশি বয়সী খেলোয়াড় হিসেবে শত গোলের মাইলফলক ছুঁলেন রোনালদো (৩৭ বছর ৭৭ দিন)। এখানে ছাড়িয়ে গেলেন পিটার ক্রাউচকে (৩৬ বছর ২ দিন)।
এই গোল নিয়ে চলতি আসরে রোনালদোর মোট গোল হলো ১৬টি। ক্লাব ও জাতীয় দল মিলিয়ে তার ক্যারিয়ার গোল হলো ৮১১টি।