ক্যাটাগরি

সাবেক এমপি বদি মারধর করলেন ২ আওয়ামী লীগ নেতাকে

তবে এই আওয়ামী লীগ নেতার দাবি, মারধর নয়, তিনি তার ‘আত্মীয়দের শাসন করেছেন’ মাত্র।

শুক্রবার বিকালে টেকনাফ উপজেলা প্রশাসনের হলরুমে পৌর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা ও ইফতার পার্টিতে মারধর করা হয় টেকনাফ পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইউছুপ মনু ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ইউছুপ ভুট্টোকে।

ওই মারধরের কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

ভিডিওতে দেখা যায়, সভা মঞ্চের আসন থেকে দাঁড়িয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শাহ আলম রাজা ও কয়েকজন উত্তেজিত স্বরে কথা বলছেন। একপর্যায়ে সভা মঞ্চ থেকে বেরিয়ে যান কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বদি। এর কিছুক্ষণ পর কয়েকজন লোককে সঙ্গে নিয়ে বদি আবার সভাকক্ষে প্রবেশ করেন। বদি, তার ছোট ভাই আব্দুর শুক্কুরসহ কয়েকজন ইউছুপ মনুকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি ও লাথি মারেন। ইউছুপ মনুকে বাঁচাতে যান টেকনাফ পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ইউছুপ ভুট্টো ও স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুল হক। তাদেরও মারধর করতে দেখা যায় ভিডিও চিত্রে।

 

ইউছুপ মনু বলেন, “পূর্ব-নির্ধারিত এই সভায় বদি পৌর কমিটির নেতাকর্মীদের মতামতকে অগ্রাহ্য করে ওয়ার্ড কমিটির নেতাদের প্রধান্য দেন। আমি প্রতিবাদ করলে বদি ক্ষিপ্ত হন। পরে বদি, তার ভাই আব্দুর শুক্কুর ও ভাগ্নে নূর মোহাম্মদসহ কয়েকজন আমার ওপর সম্মিলিতভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি ও লাথি মারেন।

“আমাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন ইউছুপ ভূট্টো ও স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুল হক। হামলাকারীরা তাদেরও ব্যাপক মারধর করেন।”

তারা আহত হয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন বলে তিনি জানান।

মারধরের কথা স্বীকার করেছেন টেকনাফ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি জাবেদ ইকবাল চৌধুরী।

তিনি বলেন, “পৌর আওয়ামী লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি নিয়ে বাক-বিতণ্ডার জেরে বদি ও তার সমর্থকদের হাতে পৌর আওয়ামী লীগের দুই নেতা মারধরের শিকার হন।”

সে সময় সভামঞ্চে ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শাহ আলম রাজা, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রণজিৎ দাশ, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ইউনুস বাঙ্গালী, টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহেদ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল বশরসহ জেলা-উপজেলা ও পৌর কমিটির নেতারা।

আব্দুর রহমান বদি বলেন, “আমি আওয়ামী লীগের কোনো নেতাকে মারধর করিনি। যাদের মারধরের কথা বলা হচ্ছে, তারা আমার আপন মামাত ভাই ও মামাত বোনের স্বামী।

“জেলা কমিটির নেতাদের সামনে তারা অশোভন আচরণ করেছে। এতে আমার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে। এ কারণে আত্মীয় হিসেবে আমার ভাই ও ভগ্নিপতিকে শাসন করেছি।”