ক্যাটাগরি

স্বাস্থ্যঝুঁকি ‘কমাতে’ নিম্নস্তরের সিগারেটের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব

শনিবার বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আহছানিয়া
মিশন ঢাকা এবং ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত ‘টোব্যাকো প্রাইস অ্যান্ড ট্যাক্স’ শীর্ষক
সেমিনারে বক্তারা সরকারের কাছে এ প্রস্তাব দেন।

মূল প্রবন্ধে সিগারেটের বর্তমান শুল্ক
কাঠামোকে ‘বেশ জটিল’ উল্লেখ করে উন্নয়ন সমন্বয়ের পরিচালক (গবেষণা) আবদুল্লাহ
নাদভী দাম বাড়ানোর প্রস্তাব তুলে ধরেন।   

“প্রতি ১০ শলাকার নিম্নস্তরের সিগারেটের দাম ৩৯ টাকা
থেকে বাড়িয়ে ৫০ টাকা, মধ্যস্তরের সিগারেটের প্রতি প্যাকেট ৬৩ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭৫ টাকা
করা যায়।”

আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে উচ্চস্তরের
সিগারেটেও করহার বাড়ানোর প্রস্তাব করেন তিনি।

“এ প্রস্তাব কার্যকর করা হলে সরকারের রাজস্ব আয় হবে।
পাশাপাশি ধূমপায়ী কমবে ১৩ লাখ এবং ৯ লাখ তরুণ ধূমপান করতে নিরুৎসাহিত হবে।”

ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের উপ-পরিচালক
মোখলেছুর রহমান বলেন, “সরকার ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত দেশ গড়ার ঘোষণা
করেছে। এই লক্ষ্য অর্জনে সিগারেট ও অন্যান্য তামাকজাত পণ্যে কর বাড়ানোর কোনও বিকল্প
নেই।”

‘ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো-ফ্রি কিডস’ এর ব্যবস্থাপক আব্দুস সালাম মিয়া বলেন, “উন্নত দেশ হওয়ার স্বপ্ন পূরণে তামাক নিয়ন্ত্রণ জরুরি। এতে দারিদ্র বিমোচন
যেমন হবে, তেমনি তামাকজনিত রোগের পেছনে সরকারের ব্যয় কমে আসবে।”

তামাক নিয়ে সরকার উভয় সংকট আছে মন্তব্য করে ইআরএফ সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশিদুল ইসলাম
বলেন, “সরকার তামাক নিয়ন্ত্রণ করতে চায়, আবার রাজস্বের জন্য
তামাক খাতে নির্ভরশীলতা রয়েছে।

“তবে ধূমপান কমাতে হলে সিগারেটের দাম বিশেষ করে নিম্নস্তরের
সিগারেটের দাম বাড়াতে হবে। কেননা ৭৫ শতাংশ ধূমপায়ী নিম্নস্তরের সিগারেট ব্যবহার করে।”

রাজধানীর পল্টনে ইআরএফ কার্যালয়ে আয়োজিত
এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি শারমীন রিনভী।