ক্যাটাগরি

শিমুলিয়া ঘাটে ফের মানুষের ভিড়

লৌহজং উপজেলার এই ঘাটে শনিবার দুপুরে গিয়ে হাজারো মানুষের ভিড় দেখা যায়।

এর আগে সরকারের ঘোষিত দশ দিনের ছুটি পেয়ে গত মঙ্গলবার ও বুধবার হাজার হাজার
মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়ে শিমুলিয়া ঘাটে। ভিড় সামলাতে রীতিমত হিমশিম খায় প্রশাসন।

সরকারের ঘোষণায় লঞ্চ, সি-বোট বন্ধ করে দেওয়ার পরও চাপ সামলাতে না পেরে বাধ্য
হয়ে সেগুলো খুলে দেওয়া হয়; সচল করা হয় ১৪টি ফেরি। এসব দিয়ে কোনো যানবাহন পার না করে
শুধু পার করা হয় যাত্রী। করোনাভাইরাস সংক্রামণের কথা ভুলে মানুষ ছুটতে শুরু করে বাড়ি।
এছাড়াও রাতভর জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ইঞ্জিন চালিত ট্রলার, মাছ ধরার ট্রলার দিয়ে যাত্রীরা
পদ্মা পারি দিয়েছে।

এরপর প্রশাসনের চেষ্টায় বৃহস্পতিবার থেকে ঘাট এলাকায় কমে আসে চাপ। শুক্রবার
দিনভর ঘাট এলাকা ছিল ফাঁকা।

শিমুলিয়া পোর্ট কর্মকর্তা শাহ আলম বলেন, গণপরিবহন বন্ধ হওয়ার পরও মানুষের ঢল
কিছুতেই থামছে না। ফেরি ঘাটে ভিড়ার সাথে সাথে মানুষের ঢল নামে ফেরিতে ওঠার জন্য। কোনোভাবেই
তা ঠেকানো যাচ্ছে না।

লৌহজং থানার ওসি আলমঙ্গীর হোসাইন বলেন, “আমরা সচেতনতার জন্য ২৪ ঘণ্টা কাজ করে
চলেছি। ফেরিঘাটের বিষয়টি আলাদা। ফেরিতে গাদাগাদি করে মোটরসাইকেল ও যাত্রীরা চড়ছে।

“যেখানে সামাজিক দুরুত্ব বজায় রাখতে হাটে-বাজারে, বিভিন্ন মুদি দোকানে ছক একে
দেওয়া হয়েছে দুরুত্ব বজায় রাখার জন্য। সেখানে ফেরিতে কোনো জায়গা নেই। কোনো লোক যদি
করোনাভাইরাস নিয়ে এই জনসমাগমে ফেরিতে ওঠে তা হলে ওই এলাকায় মহামারি ছড়াতে খুব একটা
সময় লাগবে না।”