শনিবার রাতে উপজেলার
বাঙ্গরা বাজার থানার কালিপুরা গ্রামের মোহাম্মদ শফিকের খামারে এ ঘটনা ঘটে বলে উপজেলা
নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অভিষেক দাশ জানান।
রোববার দুপুরে খামারি
শফিক কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, “আমি তো শেষ ভাই। আমার কষ্টের লালন-পালন করা গরুগুলো কীভাবে
মরে পড়ে আছে। ঋণ নিয়ে করা। এখন কী হবে, আমি দিশেহারা।“
শনিবার রাত ১১টায়
গরুগুলোকে শেষবার খাবার দিয়ে শফিক ঘুমাতে যান। রাত ১টার দিকে গরুর ছোটাছুটির শব্দে
তার ঘুম ভাঙে। গোয়াল ঘরের দরজায় হাত স্পর্শ করতেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নিজেই মাটিতে
পড়ে যান।
দ্রুত মেইন সুইচ
বন্ধ করে গোয়াল ঘরে যান শফিক। ততক্ষণে ছয়টি গরু মরে পড়ে আছে। আর পাঁচটি গরু অসুস্থ
হয়ে পড়ে আছে। আহত গরুগুলোর অবস্থাও ভালো না বলে জানান খামারি শফিক।
স্থানীয় বাসিন্দা
আবদুল মতিন বলেন, শফিক স্বাবলম্বী হওয়ার আশায় গরু পালন শুরু করে। মূলত তিনি নিরীহ মানুষ।
ঋণের টাকায় গরু লালন-পালন করছিল। এ ছাড়া ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালিয়ে তিনি সংসার
চালাতেন। তার খুব ক্ষতি হয়েছে।
ইউএনও অভিষেক দাশ
বলেন, “বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। শফিকের আর্থিক অবস্থা জানার পর আমি জেলা প্রশাসক মহোদয়ের
সঙ্গে কথা বলেছি। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাচ্ছি। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে কিছু সহায়তা করা হবে।
পরবর্তীতে আমরা তাকে আরও সহযোগিতা করার চেষ্টা করব।”