ঈদের আগে পরিবার ও স্বজনদের কাছে প্রবাসীদের অর্থ পাঠানোর পরিমাণ বরাবরই বেশি থাকে। গত কয়েক মাসের নিম্নমুখী প্রবণতার মধ্যেও এবার এর ব্যতিক্রম হয়নি।
গত ৩ এপ্রিল রোজা শুরুর হিসাবে আগামী ২ বা ৩ মে ঈদ হওয়ার কথা রয়েছে। ব্যাংকারদের আশা, দৈনিক রেমিট্যান্স পাঠানোর এ ধারা বজায় থাকলে এ মাস শেষে তা মোট ২০০ কোটি ডলার বা দুই বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।
রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম ২১ এপ্রিল পর্যন্ত ১৪০৭ দশমিক শূন্য ৯ মিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স আসার তথ্য জানান।
প্রতি ডলারের বিনিময় হার ৯০ টাকা ধরলে এপ্রিলের ২১ দিনে দেশে ১২ হাজার ৬৬৪ কোটি টাকা পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।
২০২১ সালের এপ্রিলে রেমিট্যান্স এসেছিল ২০৬ কোটি ৭৬ লাখ ডলার। আর চলতি বছর মার্চে প্রবাসীরা পাঠিয়েছিলেন ১৮৫ কোটি ৯৯ লাখ ডলার।
রেমিট্যান্সের চলতি অর্থবছরের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা যায়, অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ক্রমান্বয়ে রেমিট্যান্স আসা কমেছে। জুলাইতে ১৮৭ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স ডিসেম্বরে এসেছে ঠেকেছে ১৬৩ কোটিতে।
ফেব্রুয়ারিতে রেমিট্যান্স কমে ২১ মাসে সর্বনিম্ন
বছরের শুরুতে নগদ প্রণোদনা আরও বাড়ানোর ঘোষণায় জানুয়ারিতে বেড়ে ১৭০ কোটি ৪৫ লাখ ডলার হলেও পরের মাসেই তা কমে যায়। গত ফেব্রুয়ারিতে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৪৯ কোটি ৬০ লাখ ডলার, যা ছিল ২১ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন।
চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত ৯ মাসের হিসেবেও নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এ সময়ে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ১৫ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার। আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে তা ১৭ দশমিক ৭৪ শতাংশ কম।
২০২০-২১ অর্থবছরের মার্চ পর্যন্ত সময়ে এসেছিল ১৮ দশমিক ৬০ বিলিয়ন ডলার।
অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান জায়েদ বখতের কাছে আগের বছর রেকর্ড রেমিট্যান্সের পর এবার কিছুটা কম হওয়া স্বাভাবিক।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “এবার ডলারের দাম একটু হরেফের হয়ে গেছে। হয়তো ব্যাংকিং চ্যানেলে না এসে হুন্ডির মাধ্যমে বেশি ডলার আসছে। তাই রেমিটেন্স কম দেখাচ্ছে।”