বিআইডব্লিউটিসির পরিচালক
(বাণিজ্য) এসএম আশিকুজ্জামান রোববার একথা জানান।
ঈদ ঘনিয়ে আসায় যাত্রী
ও যানবাহনের চাপ বাড়তে শুরু করেছে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়ার সঙ্গে মাদারীপুরের বাংলাবাজার
ও মাঝিকান্দি নৌ-রুটে।
ঘাট এলাকায় ফেরি স্বল্পতা
এবারের ঈদযাত্রায় যাত্রী ভোগান্তি বেড়েছে; তাই ফেরি সংখ্যা বাড়ানোর দাবি করেছে এই নৌ-পথে
যাতায়াতকারী যাত্রী ও যানবাহন চালকেরা।
গত বছর এ রুটে ১৮ থেকে
২১টি ফেরি ছিল। এ বছর চালু আছে মাত্র ৫/৬টি ফেরি। এমন পরিস্থিতিতে আসন্ন ঈদুল ফিতরে
বাড়তি যানবাহনের চাপে ভোগান্তির আশঙ্কা করছে এই যাতায়তকারীরা।
বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া
ঘাট কর্তৃপক্ষ জানায়, ঈদ ঘনিয়ে আসায় ঘাট এলাকায় বেড়েছে যাত্রী ও ছোট বড় বিভিন্ন যানবাহনের
চাপ। তাই যাত্রীদের ভোগান্তি এড়াতে এ নৌ-রুটে মানুষ ও হালকা যানবাহন পারাপারে আরও চারটি
ফেরি বাড়ানো হবে। এতে বহরে ফেরির সংখ্যা দাঁড়াবে ১০।
এর মধ্যেই একটি ‘মিডিয়াম’
ফেরি ক্যামেলিয়া বহরে যুক্ত হয়েছে বলেও তিনি জানান।
রোববার সকাল থেকে ঘাটের
পার্কিংয়ে পারাপারের অপেক্ষায় যানবাহনের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে। যাত্রীদের চাপ বৃদ্ধি
পেয়েছে লঞ্চ ও স্পিড বোট ঘাটেও। এছাড়া লঞ্চ ও স্পিড বোট দিয়ে অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই
করে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যাত্রী পারাপার। সেখানেও প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে যাত্রীদের ভিড়।
বিআইডব্লিউটিসির পরিচালক
(বাণিজ্য) এসএম আশিকুজ্জামান জানান, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও শিমুলিয়া-মাঝিকান্দি নৌরুটে
ঈদে ফেরি থাকবে ১০টি। চালু ৬টির সঙ্গে আরও ৪টি যুক্ত করা হবে।
“এ রুটে ২৪ ঘণ্টা ফেরি
চলাচলের জন্য আমরা সেতু কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছি। আশা করছি এটি অনুমোদন হবে। সেক্ষেত্রে
শিমুলিয়া-বাংলাবাজার এবং শিমুলিয়া মাঝিকান্দি নৌরুটে ২৪ ঘণ্টা ফেরি চলাচল করবে। এই
নৌ-রুটে যেহেতু শুধু ছোট গাড়ি পার হবে সেক্ষেত্রে ১০টি ফেরি পর্যাপ্ত মনে হয়।”
তিনি আরও বলেন, যাত্রী
সাধারণের সুবিধার্থে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে রাত ১০টা পর্যন্ত লঞ্চ চলাচল করবে।
আর শিমুলিয়া-মাঝিকান্দি থেকে ২৪ ঘণ্টাই লঞ্চ চলাচল করবে। লঞ্চ মালিকদের বলা হয়েছে যেন
লঞ্চের সংখ্যা বৃদ্ধি করেন।
আশিকুজ্জামান আরও জানান,
নতুন চারটি ফেরি আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে ডকইয়ার্ড থেকে এনে বহরে যুক্ত করা হবে। আশা
করা হচ্ছে, আগামী বুধ-বৃহস্পতিবার থেকেই ঘাটে যাত্রীদের চাপ শুরু
হবে।