সবশেষ আমদানি নীতিতে
সর্বোচ্চ ৫০০ সিসি পর্যন্ত মোটরসাইকেলের যন্ত্রাংশ আমদানির সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
২০২১-২৪ মেয়াদের আমদানি
নীতির গেজেট রোববার প্রকাশ হয়েছে।
ব্যবসায়ীদের দাবির
প্রেক্ষিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আমদানি নীতিতে বেশি ইঞ্জিন ক্ষমতার মোটরসাইকেল উৎপাদনের
এ সুযোগ দিল।
বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত
ব্যবহার করা যায় এমন মোটরসাইকেলের ইঞ্জিনের সর্বোচ্চ ক্ষমতা ১৬৫ সিসি। আর দীর্ঘদিন
ধরে কিছু কোম্পানি মোটরসাইকেলের সিসি ক্ষমতার সীমা বাড়ানোর আবেদন করে আসছিল। এ খাতের
অনেক কোম্পানি এর বিরোধীতাও করে।
আমদানি নীতিতে বলা
হয়েছে, আপাতত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী চাইলে ১৬৫ সিসির বেশি ক্ষমতা সম্পন্ন মোটরসাইকেল
আমদানি করে নিজেদের প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পারবে। আর ব্যক্তি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান
পর্যায়ে আমদানির ক্ষেত্রে এখনও সীমাটি ১৬৫ সিসির ঘরে। তবে কেউ চাইলে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে
উৎপাদনের জন্য সর্বোচ্চ ৫০০ সিসি মোটরসাইকেলের যন্ত্রাংশ আমদানি শুরু করতে পারেন।
মোটরসাইকেলের সিসি সীমা বাড়ানোর ভাবনা
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের
আমদানি অধিশাখার পরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, নতুন
আমদানি নীতিমালায় যেকটি পরিবর্তন আনা হয়েছে তার মধ্যে মোটরসাইকেলের ইঞ্জিনের সিসি সীমা
বাড়ানো অন্যতম। এতদিন ১৬৫ সিসি ছিল সর্বোচ্চ। এখন সেটা চাইলে ৫০০ সিসি পর্যন্ত বাড়ানো
যাবে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়াকড়িতে রাজধানীতে মোট সাইকেল চালক ও যাত্রীরা হেলমেট ব্যবহারে সচেতন হচ্ছেন। ছবি: আব্দুল্লাহ আল মমীন
মোটরসাইকেলের সিসি
(সেন্টিমিটার কিউব) সীমা হচ্ছে ইঞ্জিনের শক্তিমত্তার পরিচায়ক। মোটরসাইকেলের গতির সঙ্গে
এর সরাসরি সম্পর্ক নেই। ইঞ্জিনের ভেতরে ঘূর্ণায়মান পিস্টনের আয়তন যত বড়, ইঞ্জিনের সিসি
ক্ষমতা তত বেশি। বড় আয়তনে পিস্টন লাইনারে ইঞ্জিন বেশি পরিমাণে বাতাস ও জ্বালানির মিশ্রণ
ধারণ করতে পারে বলে বেশি শক্তি তৈরি হয়।
টিভিএস অটো বাংলাদেশের
ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিপ্লব কুমার রায় বলেন, নীতিমালায় অনুমোদন দেওয়া হলেও এটি কয়েকটি
ধাপ পেরিয়ে বাস্তবায়ন হচ্ছে বা হবে। অধিক সিসির মোটরসাইকেলগুলোর যন্ত্রাংশ এনে দেশে
উৎপাদন করা যাবে। এক্ষেত্রে বিআরটিএসহ আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন লাগবে।