ক্যাটাগরি

রডের দাম ‘বেঁধে দেওয়ার’ চিন্তা

মঙ্গলবার কারওয়ান বাজারে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে নির্মাণ খাতের ব্যবসায়ী এবং রড ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে এ বিষয়ে বৈঠক হয়।

বাংলাদেশ স্টিল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন, রডের খুচরা বিক্রেতা, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কনস্ট্রাকশন ইন্ডাস্ট্রিজের প্রতিনিধিরা এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এএইচএম সফিকুজ্জামান জামান জানান, অভিন্ন মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি ঠিক করতে একটি কমিটি গঠন করা হবে।

 “সেই কমিটি আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য করে একটি অভিন্ন মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি সম্পর্কে সুপারিশ করবে। আগামী ৩০ মে তারিখের মধ্যে এই কমিটির কাছ থেকে প্রতিবেদন আশা করব আমরা,”- বলেন তিনি।

কমিটিতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, ট্যারিফ কমিশন, কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ক্যাব, আইসিএমএবি, স্টিলমিল মালিকদের প্রতিনিধি, রডের বিক্রেতা এবং বুয়েটের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রতিনিধিরা থাকবেন।

সম্প্রতি নির্মাণ কাজের অন্যতম প্রধান এ উপকরণটির দাম টন প্রতি ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেড়ে ৯০ থেকে ৯২ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। গত তিন মাস ধরে দাম বাড়ার এক পর্যায়ে ইউক্রেইন যুদ্ধ শুরুর পর লাফিয়ে বেড়ে যায়।

রডের দামে ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেন, “রডের যৌক্তিক মূল্য কীভাবে নির্ধারণ করা উচিত সেটা নিয়ে সরকারি সংস্থার পক্ষ থেকে পরিপূর্ণভাবে কাজ করা হয়নি।

“সেজন্য একটি পূর্ণাঙ্গ পর্যালোচনা চালানো যেতে পারে। ইতোপূর্বে আমরা ভোজ্যতেলের ক্ষেত্রে একটি পর্যালোচনা চালিয়েছিলাম।”

নির্মাণ শিল্পের অন্যতম কাঁচামাল রডের বাজারে শৃঙ্খলা ফেরাতে এর আগে ঢাকার ইংলিশ রোডসহ একাধিক রডের বাজারে অভিযান চালায় ভোক্তা অধিদপ্তর।

পরে গত ১৩ এপ্রিল বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কনস্ট্রাকশন ইন্ডাস্ট্রিজ ও ইংলিশ রোড আয়রন অ্যান্ড স্টিল মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে এ দফা বৈঠক হয়। তারই ধারাবাহিকতায় সোমবার দ্বিতীয় দফায় বৈঠক হয়।

ভোক্তা অধিকারের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, “করোনা মহামারী ও ইউক্রেইনে যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে রডের দাম কিছুটা বেড়েছে এটা ঠিক।

“কিন্তু স্বচ্ছতার জন্য এসওর গায়ে ইউনিট প্রাইস বা একক মূল্য উল্লেখ করে দিতে হবে। দেখা গেছে সকাল বিকাল এই পণ্যটির দাম প্রতি টনে ২/৩ হাজার টাকা উঠানামা করে। সেথেকে বুঝা যায় এখানে শৃঙ্খলা ফেরাতে কিছু করার আছে।”

অনুষ্ঠানে ক্যাবের প্রতিনিধি বলেন, রডসহ প্রতিটি পণ্যেরই বিক্রয়মূল্য ও মুনাফার সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া উচিত। এবং এসব মূল্য সাধারণ মানুষের সামনে প্রদর্শন করা উচিত।

বৈঠকে বাংলাদেশ স্টিল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি মনোয়ার হোসেন, ইংলিশ রোড আয়রন অ্যান্ড স্টিল মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন, অ্যাসোসিয়েশন অব কনস্ট্রাকশন ইন্ডাস্ট্রিজের সহ-সভাপতি বিমল রায় উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন

রডের বাজারে ‘কয়েক স্তরে’ কারসাজি: ভোক্তা অধিদপ্তর
 

রডের বাজারে ‘সিন্ডিকেট খুঁজতে’ অভিযানের সুপারিশ