মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর বিশেষ জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এ আদেশ দেন। এতে
দুই মাসের জন্য বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।
দুদকের উপ পরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক জানান,
সেলিম খানের বিদেশ
যাত্রায়
নিষেধাজ্ঞা
চেয়ে দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে
আদালত এ আদেশ দেন।
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এ ইউপি
চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধানও চলছে।
চাঁদপুর সদরের লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সেলিম খান চলচ্চিত্র প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান শাপলা মিডিয়ারও কর্ণধার। গত বছরের শুরুতে প্রতিষ্ঠানটি ১০০ সিনেমা নির্মাণের ঘোষণা দিলে তা নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।
মঙ্গলবার আদালতে দুদকের আবেদনে বলা হয়, সেলিম খানের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ২০ কোটি ৬৬ লাখ ৮০ হাজার ৫৮৫ টাকা মূল্যের সম্পদের অনুসন্ধান পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে তাকে সম্পদের হিসাব দাখিল করতে নোটিস পাঠানো হলে কমিশনে তিনি সম্পদ বিবরণী জমা দেন।
অনুসন্ধানকালে অনেক স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের তথ্য এবং বিদেশে
সম্পদ পাচারের
তথ্য পাওয়ার কথা জানিয়ে ওই আবেদনে বলা হয়,
“সেলিম খান দেশত্যাগ করে অন্য দেশে যাওয়ার চেষ্টা করছেন, যা অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা গোপন সূত্রে জেনেছেন, এজন্য অভিযুক্ত ব্যক্তি যাতে বিদেশ গমন না করতে পারেন, সে জন্য তার বিদেশ গমন নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়।”
এ বিষয়ে শুনানি শেষে সেলিম খানকে বিদেশ ভ্রমণে ৬০ দিনের জন্য আদালত নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বলে জানান দুদক কর্মকর্তা আরিফ সাদেক। তিনি
এও জানান, নিষেধাজ্ঞার আদেশ ইমিগ্রেশন পুলিশের বিশেষ শাখার পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
শাপলা মিডিয়া সংশ্লিষ্ট মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমার মধ্যে আছে- ‘চিটাগাংইয়া
পোয়া নোয়াখাইল্লা মাইয়া’, ‘প্রেম চোর’, ‘শাহেনশাহ’, ‘ক্যাপ্টেন খান’, ‘আমি নেতা হবো’,
‘টুঙ্গিপাড়ার মিয়া ভাই’, ‘বয়ফ্রেন্ড’, ‘পাগলের মতো ভালোবাসি’।