মঙ্গলবার বিকেলে নগরীর আমতল মোড় থেকে একটি র্যালি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে মিউনিসিপ্যাল মডেল হাইস্কুল মাঠে অস্থায়ী শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে।
এরপর দারুল ফজল মার্কেটে সংগঠনের কার্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) চট্টগ্রাম জেলা সভাপতি অশোক সাহা বলেন,
“ভাষা আন্দোলনের রক্তাক্ত ইতিহাসের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচার, সাম্রাজ্যবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী প্রগতিশীল ছাত্র আন্দোলন সংগঠিত করার আহ্বান নিয়ে ১৯৫২ সালের ২৬ এপ্রিল গড়ে ওঠে ‘পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন’।
“শুরুতে সংগঠনের নাম পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন হলেও বাংলাদেশ রাষ্ট্রের বিকাশের প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে স্বাধীন দেশে নামকরণ হয়,
বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন।”
৬২’র শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬’র ছয় দফা, ৬৯’র গণ অভ্যুত্থান, ৭১’র মুক্তিযুদ্ধ, ৯০’র স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন, ২০০৮’র সেনাসমর্থিত সরকারবিরোধী আন্দোলন, ২০১৩’র গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনসহ বাংলাদেশের প্রতিটি গৌরবোজ্জ্বল আন্দোলনে ছাত্র ইউনিয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত ছিল বলে মন্তব্য করেন অশোক সাহা।
তিনি বলেন, “গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ ও ধর্মনিরপেক্ষতাকে মূলমন্ত্র করে দেশের ছাত্র সমাজের সকল অধিকার আদায়ের সংগ্রামে ছাত্র ইউনিয়নের রয়েছে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা।
“শহীদ মতিউল, কাদের, শাহাদাত, নূতন, আসলাম, সঞ্জয়, টিটো, সুজন, রাজু, বিপ্রদাশসহ শত শহীদের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে একটি সাম্প্রদায়িকতা, স্বৈরাচার ও সাম্রাজ্যবাদবিরোধী মুক্তিযুদ্ধের চেতনার শোষণমুক্ত দেশ গড়ার লড়াইয়ে আপসহীন সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন।”
জেলা সংগঠনের সভাপতি এ্যানি সেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইমরান চৌধুরীর সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য দেন ছাত্র ইউনিয়ন চট্টগ্রাম জেলার সাবেক সভাপতি ফজলুল কবির মিন্টু, হাসান ফেরদৌস, ডা. আরিফ বাচ্চু, রবিন গুহ।