নালিতাবাড়ী থানার ওসি বছির আহমেদ
বাদল জানান, মঙ্গলবার গ্রেপ্তারের পর তাকে আদালতে পাঠানো হয়। সোমবার সকালে শেরপুরের
বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের কর্মকর্তারা হাতিটি উদ্ধার করেন।
গ্রেপ্তার আব্দুর রউফ উপজেলার বনকুড়া
গ্রামের বাসিন্দা; আর হাতির মালিক আবদুল করিম মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার রাজকান্দি
গ্রামের বাসিন্দা বলে পুলিশ জানিয়েছে।
বনবিভাগ শেরপুর সদর রেঞ্জের কর্মকর্তা
মঞ্জুরুল আলম বলেন, ছয় বছর বয়সের হাতিটি আব্দুর রউফ সম্প্রতি আব্দুল করিমের কাছ থেকে
ভাড়া করে নালিতাবাড়ী নিয়ে যান। রোববার মধ্যরাতে বনকুড়া গ্রামে শিকলবন্দি হাতিটি দেখে
স্থানীয়রা বন বিভাগ ও পুলিশ প্রশাসনকে জানায়।
পরে সোমবার হাতিটি উদ্ধার করে বন্যপ্রাণী
সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হলে মাহুত আব্দুর রউফকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তবে হাতিটি আব্দুর রউফ মৌলভীবাজার
থেকে কেন শেরপুর এনেছিলেন তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
বনবিভাগের কর্মকর্তা মঞ্জুরুল আলম
আরও বলেন, পালনের বৈধ কাগজপত্র না থাকায় হাতির মালিক আব্দুল করিম ও ভাড়া নেওয়া ব্যক্তি
আব্দুর রউফের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
শেরপুরের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য
সংরক্ষণ কর্মকর্তা সুমন সরকার বলেন, খবর পেয়ে হাতিটি উদ্ধার করে মধুটিলা ইকোপার্কে
রাখা হয়েছে। হাতি লালন-পালনের বৈধ কাগজপত্র না থাকায় তাদের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ
ও নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে।
এ মামলায় আব্দুর রউফকে গ্রেপ্তার
করা হলেও মালিক আবদুল করিম পলাতক রয়েছে বলে জানান ওসি বছির আহমেদ।