মঙ্গলবার সংগঠনগুলোর এক বিবৃতিতে শিল্প
মন্ত্রণালয়ের এই সিদ্ধান্ত অনতিবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বলা হয়,
করোনাভাইরাসের এই প্রাদুর্ভাবের মধ্যে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য না হওয়া সত্ত্বেও
দ্রুততার সাথে অনুমোদন দেওয়ার বিষয়টি নজিরবিহীন ঘটনা।
করোনাভাইরাস প্রার্দুভাবের পর বিশ্বস্বাস্থ্য
সংস্থা বলছে, ধূমপান ফুসফুস ও দেহের অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ক্ষতি করে এবং
কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে।
এরইমধ্যে করোনাভাইরাস সংকট মোকাবেলায় দক্ষিণ
আফ্রিকা সিগারেট বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে বলে এতে বলা হয়।
সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে তামাকবিরোধী সংগঠন
প্রজ্ঞার এই বিবৃতিতে বলা হয়, “করোনা সংকট মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত
বিভিন্ন পদক্ষেপ সর্বত্র প্রশংসিত হলেও শিল্প মন্ত্রণালয়ের এই জনস্বাস্থ্যবিরোধী
পদক্ষেপ হতাশা সৃষ্টি করেছে।”
বিবৃতি দেওয়া ২০টি তামাকবিরোধী সংগঠন হচ্ছে-
বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটি, বিসিসিপি, এসিডি, ইপসা, এইড ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ
তামাকবিরোধী জোট, বিএনটিটিপি, বিটা, গ্রাম বাংলা উন্নয়ন কমিটি, নাটাব, প্রত্যাশা,
টিসিআরসি, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন, উফাত, তাবিনাজ, ভয়েস, ডব্লিউবিবি ট্রাস্ট,
অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া এলায়েন্স- আত্মা এবং প্রজ্ঞা।
বাংলাদেশে বর্তমানে তিন কোটি ৭৮ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক
মানুষ তামাক ব্যবহার করে এবং প্রায় চার কোটি ১০ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ নিজ
বাড়িতেই পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হন। প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে তামাকের ক্ষতির শিকার
এই বিপুল জনগোষ্ঠী বর্তমানে মারাত্মকভাবে করোনাভাইরাসে অঅক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকির
মধ্যে রয়েছে বলে বিবৃতিতে বলা হয়।
২০৪০ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত
তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে শিল্প মন্ত্রণালয়ের এই সিদ্ধান্তকে বড় বাধা
হিসেবে উল্লেখ করে তা দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রত্যাহার এবং সিগারেট বিক্রির উপর
সাময়িক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার দাবি জানিযেছে সংগঠনগুলো।