সেমি-ফাইনালের প্রথম লেগে মঙ্গলবার ম্যানচেস্টার
সিটির মাঠে ৪-৩ গোলে হেরেছে রিয়াল। ‘অ্যাওয়ে’ গোলের নিয়ম এখন আর নেই বলে প্রতিপক্ষের
মাঠে এত গোলের বাড়তি সুবিধা রিয়াল পাবে না। তবে ব্যবধান স্রেফ এক গোলের বলে তাদের সম্ভাবনা
এখনও জিইয়ে আছে ভালোভাবেই।
সেই সম্ভাবনাকে বাস্তব রূপ দেওয়ার পথে বড়
শক্তি নিজেদের মাঠের দর্শক। সান্তিয়ার্গো বের্নাবেউয়ের গ্যালারি ঠাসা দর্শকের প্রেরণায়
চলতি আসরেই পিএসজি ও চেলসির বিপক্ষে পিছিয়ে থেকে দারুণভাবে ফিরে আসে রিয়াল। আবারও তেমন
কিছু না হওয়ার কারণ দেখছেন না বেনজেমা।
“হার কখনোই ভালো কিছু নয়। তবে এটা সর্বোচ্চ
পর্যায়ের খেলা এবং দুর্দান্ত একটি দলের বিপক্ষে তাদের মাঠে ম্যাচ। তার পরও ২-০ গোলে
পিছিয়ে পড়ে আমরা লড়াই করে ফেরার মানসিকতা দেখিয়েছি। আমরা কখনোই হাল ছাড়িনি এবং শেষ
পর্যন্ত লড়ে গেছি।”
“(দ্বিতীয় লেগে) আমাদের দর্শকদের তৈরি থাকতে
বলছি জাদুকরি কিছু দেখার জন্য। সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে আমরা দ্বিতীয় লেগে জিতবই। গোটা
স্টেডিয়ামকে আমাদের পাশে চাই।”
রিয়াল যে এখনও লড়াইয়ে টিকে আছে, তাতে বড় কৃতিত্ব
বেনজেমার। ফর্মের তুঙ্গে থাকা ফরোয়ার্ড করেন দুই গোল। প্রথমটি দারুণ ফিনিশিংয়ে, পরেরটি
পেনাল্টিতে ‘পানেনকা’ শটে।
তার এই গোলও বিস্ময় জাগায় প্রবলভাবে। আগের
ম্যাচেই লা লিগায় দুটি পেনাল্টির সুযোগ হাতছাড়া করেছিলেন তিনি। এরপরই এরকম বড় ম্যাচে
প্রবল চাপের মুহূর্তে পানেনকা শটের মতো ঝুঁকির পথ বেছে নিলেন তিনি। ম্যাচের পর কৌতূহল
মেটালেন সেই শট নিয়েও।
“পেনাল্টি না নিলে মিস করার ভয় নেই। পেনাল্টি
নিলে তো মিস হয়েই থাকে। নিজের ওপর আমার বিশ্বাসের কমতি নেই।”
আনচেলত্তি অবশ্য বিরক্ত চার গোল হজম করে।
দলের রক্ষণভাগের ওপর দায়টা সরাসরিই দিলেন রিয়াল মাদ্রিদ কোচ।
“আরও ভালোভাবে রক্ষণ সামলাতে হবে আমাদের।
এই ফল মোটেও ভালো নয়, কারণ ওরা আমাদেরকে চারটি গোল দিয়েছে। এটা কখনোই ভালো কিছু নয়।
এটার মানে আমরা রক্ষণকাজ ঠিকঠাক করতে পারিনি এবং দ্বিতীয় লেগে আরও ভালো করতে হবে এখানে।
আমার বিশ্বাস, এটিই হবে গুরুত্বপূর্ণ।”
ঘরের মাঠ বলেই বেনজেমার মতো দ্বিতীয় লেগে
দারুণ কিছুর আশা করছেন আনচেলত্তিও।
“আমরা খুবই আত্মবিশ্বাসী এবং রোমাঞ্চিত, কারণ
বের্নাবেউয়ের জাদুতে বিশ্বাস আছে আমাদের।”
দ্বিতীয় লেগের লড়াই আগামী বুধবার।