ক্লার্ক যখন ক্যারিয়ার শুরু করেন, ম্যাথু হেইডেন, জাস্টিন ল্যাঙ্গার,
অ্যাডাম গিলক্রিস্ট, ডেমিয়েন মার্টিনরা তখন দাপটে খেলছেন। ২০১৫ অ্যাশেজ দিয়ে যখন ক্যারিয়ারের
ইতি টানলেন ক্লার্ক, তখন ডেভিড ওয়ার্নার, স্টিভেন স্মিথরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রতিষ্ঠিত।
কিন্তু ক্লার্কের সেরা সাতে জায়গা পাননি তাদের কেউই।
ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে তার তালিকায় আছেন দুজন করে ব্যাটসম্যান।
স্কাই স্পোর্টস রেডিওর ‘বিগ স্পোর্টস ব্রেকফাস্ট’ অনুষ্ঠানে ক্লার্ক
শুধু নিজের সেরা সাত ব্যাটসম্যানের নামই জানাননি, আলাদা করেও বলেছেন তাদের বিশেষত্ব।
ব্রায়ান লারা
“সম্ভবত ক্যারিয়াজুড়ে আমার সবচেয়ে প্রিয় ব্যাটসম্যান। পরিসংখ্যান
যদি দেখুন, তার গড় হয়তো আমার তালিকার অন্যদের মতো এতটা বেশি নয়। কিন্তু তিনি সবার চেয়ে
আলাদা তার খেলার ধরনে, তা ফাস্ট বোলারদের বিপক্ষে হোক বা স্পিনারদের বিপক্ষে।”
“অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তার দুর্দান্ত সাফল্যকেও আলাদা করে বলতে হবে।
আমার এই তালিকা বাছাইয়ে এটিও একটি মানদণ্ড ছিল যে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে কে কতটা দাপট
দেখিয়েছে। ব্রেট লি, গ্লেন ম্যাকগ্রা, জেসন গিলেস্পি, শেন ওয়ার্ন-এমন বোলিং আক্রমণের
বিপক্ষেও তারা সাফল্যের পথ খুঁজে নিয়েছেন।”
শচিন টেন্ডুলকার
“টেকনিক্যালি সম্ভবত আমার দেখা সবসময়ের সেরা ব্যাটসম্যান। আউট করার
জন্য কঠিনতম ব্যাটসম্যান। আমার মনে হয়, টেকনিক্যালি শচিনের কোনো দুর্বলতা ছিল না। আমরা
আশা করতাম, তিনি কোনো ভুল করবেন।”
বিরাট কোহলি
“তিন সংস্করণ মিলিয়ে বললে, আমার মতে এখন সে বিশ্বের
সেরা ব্যাটসম্যান। তার ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি রেকর্ড বিস্ময়কর। এমনকি টেস্ট
ক্রিকেটে দাপট দেখানোর পথও সে বের করে নিয়েছে। টেন্ডুলকার ও কোহলির একটি মিল আছে,
দুজনই বড় সেঞ্চুরি করতে ভালোবাসে।”
এবি
ডি ভিলিয়ার্স
“আশা করছি সে ফিরবে (অবসর থেকে) এবং দক্ষিণ আফ্রিকার
হয়ে আবার খেলবে। সত্যিকারের সুপারস্টার, ব্যাটিং অর্ডারে যে কোনো পজিশনে ব্যাট
করতে পারে। টি-টোয়েন্টিতে দারুণ দাপুটে। মাঠের যে কোনো প্রান্ত দিয়ে রান বের করতে
পারে।”
জ্যাক
ক্যালিস
“আমি যাদের বিপক্ষে খেলেছি, তাদের মধ্যে সেরা
অলরাউন্ডার তিনি। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে যতটা প্রভাব রাখতে পেরেছেন এবং আমাদের
বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে যেভাবে রান করেছেন, সেটা অসাধারণ।”
রিকি
পন্টিং
“অস্ট্রেলিয়ায় আমি যাদের সঙ্গে খেলেছি, রিকিই সম্ভবত
সবার সেরা। আরও অনেক গ্রেট ব্যাটসম্যানের সঙ্গে খেলার সৌভাগ্য হয়েছিল আমার, ম্যাথু
হেইডেন, স্টিভ স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নার, অ্যাডাম গিলক্রিস্ট, ডেমিয়েন মার্টিন। সবাই
ছিলেন দুর্দান্ত। রিকিকে আলাদা করেছে, যে সময়টায় তিনি খেলেছেন। তখন প্রায় সব দলেই
দুই-তিনজন বিশ্বমানের বোলার ছিল, তিনি সবার বিপক্ষেই দাপটে খেলেছেন।”
কুমার
সাঙ্গাকারা
“তার কথা অনেকেরই মনে থাকে না। কিন্তু রেকর্ড তার
অসাধারণ। তিন নম্বরে ব্যাট করেছেন, আমার মতে যা সবচেয়ে কঠিন পজিশন। বিশ্বকাপে মনে
হয় টানা তিনটি সেঞ্চুরি করেছিলেন (টানা চারটি, ২০১৫ বিশ্বকাপে)। সাঙ্গাকারা দলের
শক্তির একটা বড় জায়গা এবং খেলাটির সত্যিকারের একজন ভদ্রলোক।”