এর প্রভাবে বুধবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটির শেয়ারের দাম মাস্কের অধিগ্রহণের চুক্তি ঘোষণার পর সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে গেছে।
বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা কোম্পানি টেসলার প্রধান নির্বাহীর কাছে ৪৪ বিলিয়ন ডলারে টুইটার বিক্রি করতে সোমবার রাজি হয় কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ।
কিন্তু মাস্কের কাছে এত বেশি নগদ অর্থ আছে কি না, টুইটার কিনে নিতে নগদ ২ হাজার ১০০ কোটি ডলার তিনি এখনই পকেট থেকে বের করতে পারবেন কি না, তা নিয়ে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের সংশয় রয়েছে বলে বুধবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে
রয়টার্স।
সেখানে বলা হয়, মাস্ক শেষ মুহূর্তে টেসলার শেয়ার বিক্রি না করার সিদ্ধান্তও নিতে পারেন- এমন সম্ভাবনার কথাও বলাবলি হচ্ছে।
রয়টার্স লিখেছে, এ ধরনের পরিস্থিতিতে মাস্ক আগেও পিছু হটেছেন। এ মাসের শুরুতেই তিনি টুইটারের পরিচালনা পর্ষদে বসার সিদ্ধান্ত থেকে সরে যান।
২০১৮ সালে ইলন মাস্ক টুইট করেছিলেন যে টেসলাকে ব্যক্তি মালিকানায় নিতে ৭ হাজার ২০০ ডলারের ‘তহবিল আলাদা করে রাখা’ আছে, কিন্তু পরে ওই প্রস্তাব নিয়ে তিনি আর অগ্রসর হননি।
তাছাড়া, টুইটার অধিগ্রহণের চুক্তি থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য মাস্ককে মাত্র ১০০ কোটি ডলার ‘ব্রেকআপ ফি’ গুণতে হবে। অবশ্য তার মোট সম্পদের (ফোর্বস সাময়িকীর হিসাবে ২৪ হাজার কোটি ডলার) তুলনায় সেটা নগণ্য।
কোম্পানি একীভূতকরণ বিষয়ক মীমাংসাকারী প্রতিষ্ঠান কেলনার ক্যাপিটালের পোর্টফোলিও ব্যবস্থাপক ক্রিস পুলটস বলেন, “এই অধিগ্রহণ চুক্তি সম্পন্ন করতে আগামী ছয় মাসে অনেকগুলো ঝুঁকি রয়েছে।”
এ বিষয়ে যোগাযোগ করে ইলন মাস্কের প্রতিনিধির কাছ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য জানতে পারেনি রয়টার্স।
নিউ ইয়র্কের পুঁজিবাজারে বুধবার টুইটারের শেয়ার ২ দশমিক ১ শতাংশ দর হারিয়ে ৪৮ ডলার ৬৮ সেন্টে লেনদেন হয়েছে, যা অধিগ্রহণ চুক্তিতে প্রস্তাবিত ৫৪ ডলার ২০ সেন্টের চেয়ে কম। রয়টার্সের হিসাবে অধিগ্রহণ চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার ৬২ শতাংশ সম্ভাবনার নিরিখে এই দরপতন হয়েছে।
বিনিয়োগকারীরা বলছেন, চুক্তি সম্পন্ন করার জন্য এটা তুলনামূলক কম সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিচ্ছে, কারণ মাস্ক যেহেতু আগে অন্য কোনো মিডিয়ার মালিকানায় ছিলেন না, তাই তার ক্ষেত্রে এন্টিট্রাস্ট বা একচেটিয়া ব্যবসা বিষয়ক যাচাই-বাছাই না হওয়াটা অস্বাভাবিক।
এদিকে মঙ্গলবার টেসলার শেয়ারে ১২ শতাংশের বেশি দরপতন হয়েছে। বিনিয়োগকারীদের আশঙ্কা টুইটার অধিগ্রহণে প্রয়োজনীয় দুই হাজার একশ কোটি ডলার জড়ো করতে মাস্ককে হয়তো টেসলার শেয়ার বিক্রি করতে হতে পারে।