ক্যাটাগরি

একসঙ্গে থাকার যত বাজে কারণ

ভয়, অলসতা, হতাশা, স্মৃতি ইত্যাদি অনেক
কিছুই নেপথ্যের কারণ হতে পারে। এমনই কিছু কারণ তুলে ধরা হল যোগাযোগ ও সম্পর্ক-বিষয়ক
ওয়েবসাইট ‘এসপ্রেসো কমিউনিকেইশন’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে।

ওর মতো আর কাউকে পাব পাবো না

সম্পর্ক যখন তেতো হয়, তখন আন্তমর্যাদায়
আঘাত লাগে জোরেসোরেই। মনে হয় আমার কপালে এই আছে, এটা ছেড়ে দিলে ভালো কিছু পাব না। এমন
ভয়ে একটা তিক্ত সম্পর্কে বেঁচে থাকা উচিত নয়।

বহু মানুষ রয়েছে পৃথিবীতে। সঙ্গী করার
মতো মানুষও পাওয়া যাবে। তাই ভয় নিয়ে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার কোনো মানে নেই।

শ্বশুর বাড়ির মানুষগুলো ভালো

একটা সম্পর্কের ভাঙন অনেক মানুষকে দূরে
ঠেলে দেয়। দুটি পরিবার এবং দুজনের সঙ্গেই সম্পর্ক আছে এমন মানুষগুলো মধ্যকার সম্পর্ক
নষ্ট হয়ে যাবে শুধু দুটি মানুষের বিচ্ছেদের জন্য। বিষয়টা এমন নাও হতে পারে। যে মানুষগুলোর
সঙ্গে আপনি মিশতে পছন্দ করেন তারাও যদি সেটা পছন্দ করে তবে সম্পর্ক টিকে থাকবে বিচ্ছেদের
পরেও।

পরিবারের পছন্দ

সংসারটা আপনি করেন, আপনার পরিবার নয়।
তাই জীবনসঙ্গী আপনার পরিবারের কাছে যতই প্রিয়পাত্র হোক না কেনো যদি আপনার পক্ষে তার
সঙ্গে থাকা অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায় তবে বিচ্ছেদের দিকে যাওয়া বোকামি হবে না। কারণ আপনার
পরিবার আপনাকেই সবচাইতে বেশি ভালোবাসে, তাই এসময় তারা আপনার পক্ষেই সাড়া দেবে।

সঙ্গী ক্ষমা চায়

ভুল করা পর, কষ্ট দেওয়ার পর ক্ষমা চাওয়া
আপনার কষ্টটাকে ভুলিয়ে দিতে পারে না। বিশেষ করে কেউ যদি বার বার কষ্ট দিয়েই যায় তবে
তার ক্ষমা প্রার্থনা দ্রুতই মূল্যহীন হয়ে ওঠে। তাই কেউ যদি বারবার ভুল করতেই থাকে,
তবে শুধু ভুল করে ক্ষমা চায় এই গুণের জন্য তার সারাজীবন পার করার কোনো মানে নেই।

অনেকদিন একসঙ্গে ছিলাম

১০ দিন, ১০ মাস কিংবা ১০ বছর, সম্পর্ক
যদি তিক্ত হয়ে যায় তবে অতীত আঁকড়ে থেকে কোনো লাভ নেই। আর যেদিনগুলো আপনি তিক্ততা সহ্য
করেছেন জীবনের সেই দিনগুলো নষ্ট হয়নি বরং আপনি শিক্ষা পেয়েছেন। আপনার জীবনকে গড়তে ওই
দিনগুলোরও ভূমিকা আছে। তাই সহ্যে বাধ ভেঙে গেলে সম্পর্কের বাঁধন ছিড়ুন।

নতুন সঙ্গী খোঁজা কঠিন

একটা বৈবাহিক সম্পর্ক থেকে ছিটকে পড়ার
পর আবার নতুন কাউকে পাওয়া আসলেও কঠিন। সন্তান থাকলে তা আরও কঠিন। তবে নতুন সঙ্গী যে
আপনাকে দ্রুত খুঁজে পেতে এমনটা তো কথাও বলা নেই। নতুন করে ‘সিঙ্গেল’ জীবনটাই কদিন উপভোগ
করুন না। দেখুন জীবন কোনদিকে নিয়ে যায় আপনাকে।

সঙ্গী ‘আদর্শ’

সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির বিবেচনায় আপনার
সঙ্গী একজন আদর্শ সঙ্গী। দেখতে সুন্দর, বিত্ত বৈভব আছে, বংশ পরিচয় ভালো ইত্যাদি অনেক
কিছু। বাহ্যিক এই বিষয়গুলো আপনাকে ‍দাঁত কামড়ে সহ্য করে যাওয়া অনুপ্রেরণা দিতে পারে।
তবে মনে রাখতে হবে ভালোবাসা যদি না থাকে তবে বাহ্যিক দিকগুলো বলে জীবন পার করা কঠিন।
আর বাহ্যিক এই বিষয়গুলোই যে চিরস্থায়ী সেটারই বা নিশ্চয়তা কোথায়।

ভবিষ্যতের দুর্ভাবনা

বৈবাহিক বিচ্ছেদের পর সামনের পথটা কঠিন
হবে তাতে সন্দেহ নেই। তবে মনে রাখতে হবে আপনি এখনও কষ্ট পাচ্ছেন এবং সামনেও পাবেন তা
নিশ্চিত। অন্তত বিচ্ছেদের পর সুখ পাওয়ার একটা সম্ভাবনা আছে। আর সেই সম্ভাবনাকে হেলায়
হারানো উচিত নয়।

বয়স

মধ্য বয়সে এসে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিলে
বাকি জীবনটা একাই থাকতে হবে, এমনটা ভেবে নেওয়াও ভুল।

যদি ভুল সিদ্ধান্ত হয়

বিচ্ছেদ একটা বড় সিদ্ধান্ত। এমন সিদ্ধান্ত
নেওয়ার আগে মনে ভয় আসতেই পারে যদি ভুল হয়, পরে যদি আফসোস হয়। এই ‘যদি’র ফাঁদে পা দেওয়া
যাবেনা।

অপরাধবোধ

সঙ্গীকে ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে গেলে
সবচাইতে শক্তভাবে যে আবেগ কাজ করে তা হল অপরাধবোধ। সঙ্গীকে কষ্ট দেওয়ার অপরাধবোধ। তবে
নিজের সুখের কথা চিন্তা করাও যে অপরাধ নয়, সেটাও মনে রাখতে হবে।

একাকিত্বের ভয়

মুখ ফুটে স্বীকার না করলেও একা থাকতে
সবাই ভয় পায়। আর পুরো জীবনটা একা কাটাতে হতে পারে এর চাইতে বড় আতঙ্ক খুব কমই আছে। তবে
একা থাকাও জীবনে ইতিবাচক কিছু বয়ে আনতে পারে। তাই ভয় পেয়ে পিছিয়ে না গিয়ে প্রয়োজনীয়
সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলতে হবে।

লোকে কি বলবে

লোকের কথায় কান দেবেন না, একথা মুখে মুখে
অনেক শোনা গেলেও লোকে কী বলবে সে ব্যাপারে আমরা যথেষ্টই কান দেই।

বিশেষ করে বিচ্ছেদের পর নিজের পরিবারের
দিকে মানুষ কী দৃষ্টিতে দেখবে সেটাই থাকে মুখ্য বিষয়। তবে সাংসারিক সমস্যাগুলো যদি
আসলেই গুরুতর হয় তাহলে লোকে কী বলবে সে বিষয়টা গৌন করে নিজের ভালোটাই আগে বুঝতে হবে।

আরও পড়ুন


বিচ্ছেদ যখন মঙ্গলময়
 

বিচ্ছেদ হলেও প্রাক্তন সম্পর্কে যা কখনই বলা উচিত না
 

বিচ্ছেদের বেদনা কমাতে
 

বিচ্ছেদ ঠেকাতে