ছুটি শুরুর আগে বৃহস্পতিবার শেষ কর্মদিবসে সচিবালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি ছিল বেশি। ছুটির আগের সব কাজ চুকিয়ে যাবতীয় দস্তাবেজ ফিতায় আটকাচ্ছিলেন তারা।
পাশাপাশি ঈদের কুশল বিনিময় ও বিদায়ের আলাপও সেরে নিচ্ছিলেন, চোখে-মুখে ছিল লম্বা ছুটি আর ঈদ আনন্দের আগাম রেশ।
এবারের রোজার ঈদ উপলক্ষে আগামী ২ থেকে ৪ মে পর্যন্ত সরকারি ছুটি । এর আগে ১ মে থাকছে মে দিবসের ছুটি। তার আগে ২৯ এপ্রিল শুক্রবার ও ৩০ এপ্রিল শনিবার সপ্তাহিক ছুটি।
এভাবে তিন ধাপে ছয় দিনের ছুটি শুরু হতে যাচ্ছে সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোতে।
এমনিতে ২৯ রোজা ধরে ঈদের ছুটি ঠিক হলেও এবারের ঈদের ছুটি ৩০ রোজা ধরে নিয়ে ঠিক করা হয়েছে বলে জানান জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব কেএম আলী আজম।
এক প্রশ্নের জবাবে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “ঈদের ছুটি যেভাবে ঘোষণা করা আছে সেভাবেই থাকবে। ২৯ রোজার পর ঈদ হলে একদিন এগিয়ে আসার সম্ভাবনা নেই।
“বৃহস্পতিবার ছুটি দেওয়া বা নেওয়ার বিষয়ে কোনো শিথিলতা নেই। সরকারি চাকরিবিধি অনুযায়ী কেউ সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে ছুটি নিতে পারলে তিনি ভোগ করবেন।”
জ্বালানি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) আ. খালেক মল্লিকও ঈদের ছুটির বিষয়ে তার মন্ত্রণালয়ের একই অবস্থানের কথা জানান।
তিনি বলেন, “সরকার যতটুকু ছুটি বরাদ্দ করেছেন, সবাই সেই ভাবেই ছুটিতে যাচ্ছে। কেউ যদি একান্ত প্রয়োজনে ঐচ্ছিক ছুটি নিতে চায় সেক্ষেত্রে তারা বছরের শুরুতেই আবেদন করে সেটা ঠিক করে রেখেছেন।
“ঈদের ছুটি শেষে জ্বালানি বিভাগের অধিকাংশ কর্মী ৫ মে বৃহস্পতিবার অফিস করবেন। অন্তত আমি অফিস করবে। অধিকাংশ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা অফিস করবেন। তবে নবীন কিছু কর্মকর্তা ছুটিতে যেতে পারেন।”
এদিন তথ্য, কৃষি, খাদ্য ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয়ে বিভিন্ন রকম অনুষ্ঠান থাকায় মন্ত্রণালয়ের কর্মীরা বেশ কর্মচঞ্চল ছিলেন।
শেষ কর্মদিবসে মন্ত্রণালয়ের অধিকাংশ সহকর্মীদের উপস্থিতি রয়েছে বলে জানান বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা।
তার ভাষ্য, এবারের ঈদকে কেন্দ্র করে ছয়দিনের ছুটি পেয়ে সবাই খুব খুশি। তাই ঈদের আগে অগ্রিম ছুটি নেওয়ার প্রবণতা নেই। ছুটি শেষে অধিকাংশ কর্মকর্তা কর্মচারী ৫ মে বৃহস্পতিবার কাজে যোগ দেবেন।