দৃষ্টিশক্তির সমস্যা বা রোদ ধুলাবালি
থেকে চোখ রক্ষা করা- যে কারণেই চশমা ব্যবহার করা হোক না কেনো, দাগ পড়া কাচ ও ময়লা চশমা
ব্যবহার চোখের উল্টো ক্ষতি করে।
সান ফ্রান্সিসকোতে ‘প্যাসিফিক রিমস অপটোমেট্রি’র
বিশেষজ্ঞ সেলেনা চ্যান ওয়েলঅ্যান্ডগুড ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলেন, “চশমা পরিষ্কার
করা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি দৃষ্টিশক্তি এবং স্বচ্ছতার উন্নত করে এবং এটি চোখের জন্যও
নিরাপদ।”
সময়ের সঙ্গে চশমায় ধুলা এবং ব্যাক্টেরিয়া
জমে যা চোখের সংক্রমণ সৃষ্টি করে। চশমার দাগ চোখে চাপ এমনকি মাথাব্যথাও সৃষ্টি করে।
পরিষ্কার চশমা ব্যবহার চোখের জন্যই নিরাপদ।
ডা. চ্যান বলেন, “দিনে অন্তত একবার চশমা
পরিষ্কার করা প্রয়োজন। তবে যদি ময়লা হয়ে যায় তাহলে একাধিকবার তা পরিষ্কারের প্রয়োজন
পড়তে পারে।”
যেমন- কোনো কারণে বাক্স ছাড়াই চশমা ব্যাগে
ফেলে রাখলে তা পরে ব্যবহারের আগে অবশ্যই ভালো মতো পরিষ্কার করে নিতে হবে।
চশমা পরিষ্কার খুব একটা তড়াহুড়ার কাজ
না। এটা বেশ সূক্ষ্ম শিল্পের মতো যা অনেক মনোযোগ ও সময় নিয়ে করা প্রয়োজন।
ডা. চ্যান চশমা পরিষ্কারের কয়েকটি ধাপ
সম্পর্কে পরামর্শ দেন।
প্রয়োজনীয় উপকরণ যোগাড় ও হাত পরিষ্কার রাখা
চশমা পরিষ্কার করতে লেন্স ক্লিনার ও মিহি
আঁশের কাপড় প্রয়োজন যা চশমার দোকানেই পাওয়া যায়। হাতের কাছে এগুলোর ব্যবস্থা না থাকলে
চশমা পরিষ্কার করতে রাবিং অ্যালকোহল বা মৃদু ডিশ ওয়াশিং সোপ ব্যবহার করা যেতে পারে।
কাচ পরিষ্কার
লেন্স এবং ফ্রেম ভালো মতো লেন্স ক্লিনার
বা রাবিং অ্যালকোহল অথবা ডিশ ওয়াশিং সাবান ব্যবহার করতে হবে। চশমাটি হালকা পানিতে কিছুক্ষণ
ডুবিয়ে রেখে ভালো মতো ঝেড়ে পানি শুকিয়ে নিতে হবে।
চশমা মুছতে টিস্যু, টি-শার্ট বা কাপড়ের
তোয়ালে ব্যবহার করা ঠিক নয়, এগুলো সূক্ষ্ম দাগ সৃষ্টি করতে পারে।
হাতের ছাপ বা ময়লা আছে কিনা তা দেখা নেওয়া
ডা. চ্যান বলেন, “পরিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত
মাইক্রোফাইবার কাপড় দিয়ে আঙ্গুলের ছাপ এবং ময়লা মুছে ফেলতে হবে।”
মাইক্রোফাইবার বা মিহিআঁশের কাপড় ছাড়া
অন্য উপাদান দিয়ে চশমার গ্লাস মুছলে, এর স্থায়িত্ব কমায়, দাগ সৃষ্টি করে যা হিতে বিপরীত
ফলাফলের মতো কাজ করে।
যেভাবে বুঝবেন চশমা পরিষ্কার নয় বরং পরিবর্তণ করতে হবে
“নিয়মিত চশমা ব্যবহার করতে করতে তাতে
দাগ ছোপ, খোসা উঠে যাওয়া বা দেখতে অসুবিধা সৃষ্টি হচ্ছে ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিলে বুঝতে
হবে চশমা বদলানোর সময় এসেছে”, এমনটাই বলেন, ডা চ্যান।
তিনি ব্যাখ্যা করেন, “দৃষ্টিক্ষমতার পার্থক্য
ভেদে বছরে একবার অথবা দুই বছরে একবার চশমা পরিবর্তন করা প্রয়োজন।”
এছাড়াও, নিয়মিত চোখ দেখালে ও বিশেষজ্ঞদের
পরামর্শ গ্রহণ করলে নিজের দৃষ্টি ক্ষমতা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। আর চশমা বদলে নতুন
ফ্রেম নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন