বৃহস্পতিবার বিকালে গণভবনে যান ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সাক্ষাতের পর তাদের আলোচনার
বিষয়বস্তু সাংবাদিকদের জানান প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।
তিনি বলেন, সাক্ষাতে দুই দেশের মধ্যে
আন্তঃযোগাযোগ বাড়ানোসহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
‘কানেকটিভিটি’ বাড়াতে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে শক্তিশালী যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে
তোলা, বিশেষ করে ১৯৬৫ সালে বন্ধ হওয়া বিভিন্ন যোগাযোগ রুট চালুর উপর গুরুত্বারোপ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, দুই দেশের মধ্যকার যোগাযোগ ব্যবস্থা শক্তিশালী হলে বিশেষ করে ভারতের
উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলো চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করতে পারবে।
ভারত-বাংলাদেশের মধ্যেকার বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করেন দুজনই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুই দেশের উচ্চ
পর্যায়ের নেতাদের সফর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতে সাহায্য করছে।
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনার মাধ্যমে সন্তোষজনক অগ্রগতি হচ্ছে বলেও
জানান শেখ হাসিনা।
প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতা এবং কুশিয়ারা ও ফেনী নদীর পানি বণ্টনসহ বিভিন্ন বিষয়ে তাদের
মধ্যে আলোচনা হয়।
কোভিড মহামারী বিষয়ে আলোচনাকালে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারা পৃথিবীতেই এর একটি প্রভাব
পড়েছে। তবে সময়মতো পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন ব্যবস্থা নেয়ার ফলে বাংলাদেশে পরিস্থিতি
অনেক ভালো এবং নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
জয়শঙ্কর বলেন, ভারতেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসছে এবং পর্যটকরাও যাচ্ছেন।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেইন যুদ্ধের একটা প্রভাব পড়ছে।
তবে এ বছর ভারতে খুব ভালো গম উৎপাদন
উৎপাদন হয়েছে বলে তিনি জানান।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মাসুদ বিন মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের
জ্যেষ্ঠ সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এবং বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী
এসময় উপস্থিত ছিলেন।