কিইভের যে জায়গাগুলো গুতেরেস ঘুরে দেখেছেন, সেগুলো এর আগে দখলে রেখেছিল রুশ সেনারা। তিনি কিইভের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর বোরোদিয়াঙ্কায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
সেখানে রুশ বাহিনীর বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গুতেরেস সেইসব ধ্বংসাবশেষ ঘুরে দেখেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।
এসময় গুতেরেস বলেন, “আমি যখন বিধ্বস্ত ভবন দেখছি, সেই বিধ্বস্ত বাড়িতে আমি আমার পরিবারকে কল্পনা করলাম, সব অন্ধকার। আমি দেখছি, আমার নাতি নাতনিরা আতঙ্কে দৌড়ে পালাচ্ছে। আর পরিবারের কিছু সদস্য নিহত হয়েছে।”
“একবিংশ শতাব্দীতে এসেও এমন যুদ্ধ অযৌক্তিক। যুদ্ধ খারাপ, যখন আপনি এ অবস্থা দেখেন; তখন আমাদের হৃদয় এই পরিস্থিতির শিকার হওয়াদের সঙ্গে থাকে। সেইসব পরিবারের প্রতি আমাদের সহমর্মিতা থাকে। একবিংশ শতাব্দীতে এসে যুদ্ধ কোনওভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।”
গুতেরেস মঙ্গলবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের পর বুধবার সন্ধ্যায় পোল্যান্ড হয়ে ইউক্রেইনে পৌঁছান।
সেখানে তিনি বন্দরনগরী মারিউপোলে মানবিক উদ্ধার অভিযানে সহায়তা করতে চান বলেও জানিয়েছেন।
‘শান্তির বার্তাবাহক’ হয়েই রাশিয়া ও ইউক্রেইন সফর করছেন বলে এর আগে জানিয়েছিলেন গুতেরেস।