বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে
মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘শেখ হাসিনা পল্লী উন্নয়ন একাডেমি, জামালপুর আইন-২০২২’ এবং পল্লী
উন্নয়ন একাডেমি, রংপুর আইন-২০২২’ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব খন্দকার
আনোয়ারুল ইসলাম দুটি আইন সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন সাংবাদিকদের সামনে।
তিনি বলেন, “যে পরিমাণ কাজ বেড়ে গেছে, তাতে
দুটি অ্যাকাডেমি পর্যাপ্ত নয়। কুমিল্লার বার্ড ও বগুড়ার আরডিএ’র (পল্লী উন্নয়ন অ্যাকাডেমি)
আদলে আরও কিছু অ্যাকাডেমি প্রয়োজন। এজন্য দুটি আইন নিয়ে আসা হয়েছে। দুটি আইনটি একই
রকম।”
আইনের খসড়ায় ২৩টি ধারা রয়েছে। অ্যাকাডেমিগুলো
বার্ড এবং আরডিএ’র আদলেই পরিচালিত হবে। একটি বোর্ড থাকবে। কার্য সম্পাদনের ক্ষেত্রে
বোর্ড আইন, বিধি ও সরকারের নির্ধারিত নির্দেশনা অনুসরণ করবে।
পদাধিকার বলে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের
মন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রী বা উপমন্ত্রী ২১ সদস্য বিশিষ্ট বোর্ডের চেয়ারম্যান থাকবেন। ভাইস-চেয়ারম্যান
হবেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব। সদস্য সচিব থাকবেন অ্যাকাডেমির মহাপরিচালক।
“এ প্রতিষ্ঠানগুলোর মূল কাজ হবে সক্ষমতার
উন্নয়ন। কিছু কিছু পাইলট প্রজেক্ট করা হবে। যেমন তারা পল্লী উন্নয়ন এবং এ সংক্রান্ত
বিষয়ে ডিপ্লোমা কোর্স দেবে, সার্টিফিকেট কোর্স করবে। এক্ষেত্রে প্রয়োজন বোধে সংশ্লিষ্ট
বিশ্ববিদ্যালয় বা শিক্ষা বোর্ডের সঙ্গে তারা এফিলিয়েটেড থাকবে,”বলেন সচিব।
তিনি বলেন, এসব অ্যাকাডেমি প্রফেশনার ট্রেনিং
বা পেশাগত প্রশিক্ষণও দেবে। প্রশাসনিক ক্যাডারের ফাউন্ডেশন ট্রেনিংগুলো এসব একাডেমিতে
হবে।
“সবচেয়ে বড় জিনিস থাকবে গবেষণার কাজ। গবেষণা
হবে তাদের মৌলিক বিষয়। নতুন নতুন পাইলট প্রজেক্টের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রযুক্তি বা কর্মসূচি
বা কার্যক্রম নিয়ে গবেষণা করবে।”