উপজেলার বাটইয়া ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মামলা করার
পর তাকে আটক করা হয় বলে কবিরহাট থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান।
আটক মো. হারুনকে গ্রেপ্তারের পর বুধবার বিকালে জেলহাজতে
পাঠানো হয়েছে।
ওসি রফিকুল বলেন, গরিব, অসহায় ও দুস্থদের জন্য ঈদুল
ফিতর উপলক্ষে বিতরণের জন্য ৪২০ বস্তা চাল বাটইয়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে রাখা হয়। মঙ্গলবার
বিতণের সময় ৪০ বস্তা চাল কম পাওয়া গেছে।
গ্রেপ্তারের
আগে হারুন ফেইসবুকে লাইভে এসে জানান, চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন শাহীনের নির্দেশে তিনি
সরকারি খাদ্যগুদাম থেকে চাল উত্তোলন করেন। পরে কাগজপত্রসহ চেয়ারম্যান চাল বুঝে নেন।
হারুনকে
ফাঁসিয়ে চেয়ারম্যান জসিম নিজের অপরাধ আড়ালের চেষ্টা করছেন বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
তবে চেয়ারম্যান
জসিম অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
তিনি বলেন,
“মঙ্গলবার দুপুরে বিতরণের সময় সন্দেহ হলে গণনায় ৪০ বস্তা চাল কম পাওয়া যায়। তখন ঘটনা
জানা যায়। পরে আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানাই। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাও
ঘটনাস্থলে আসেন। শেষে হারুনকে আসামি করে থানায় মামলা করা হয়।”
তবে চেয়ারম্যান
এই দায় এড়াতে পারেন না। ঘটনার তদন্ত চেয়েছেন এলাকাবাসী।
কবিরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আতিকুর
মামুন বলেন, “দায়িত্বে অবহেলার বিষয়টি খতিয়ে দেখে চেয়ারম্যান ও সচিবের বিরুদ্ধে আইনি
পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
“আর হারুন যেহেতু চালগুলো সরকারি গুদাম থেকে উত্তোলন
করেন, প্রাথমিক তদন্তে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় মামলার পর তাকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।”
অন্য কেউ জড়িত থাকলে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া
হবে বলে তিনি জানান।