শুক্রবার বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ- বিআইডব্লিউটিএ’র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুন্দরবন-১০,
পারাবত-৯, কর্নফুলী-১২ ও ফারহান-৫ লঞ্চকে মোট ৫২ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
এদিন সকালে কিছু যাত্রী সদরঘাটে আসলেও দুপুরে অনেকটা ফাঁকাই ছিল।
তবে বিকাল থেকে যাত্রীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। গরম ও কালবৈশাখীর এ সময়ে প্রায় প্রতিটির
লঞ্চের ছাদেই যাত্রী দেখা যায়।
এসময় অভিযান চালিয়ে কর্নফুলী-১২ লঞ্চকে ১২ হাজার টাকা, ফারহান-৫
লঞ্চকে ২০ হাজার টাকা, পারাবত-৯ লঞ্চকে ১০ হাজার টাকা এবং সুন্দরবন-১০ লঞ্চকে ১০ হাজার
টাকা জরিমানা করা হয়।

নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের পরিবহন পরিদর্শক এবিএস মাহমুদ জানান, শুক্রবার
সকাল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ৯৬টি লঞ্চ সদরঘাট থেকে ছেড়ে যায়। বৃহস্পতিবার ছেড়ে গিয়েছিল
১১০টি লঞ্চ।
শুক্রবার রাত পর্যন্ত এ সংখ্যা বেড়ে ১৩০টি হয়ে ওঠার
সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
ঈদের
আগে অধিকাংশ অফিস-আদালতে বৃহস্পতিবার ছিল শেষ কার্যদিবস। ফলে সেদিন বিকালেই অনেকে বাড়ির
পথ ধরেন। পরিবার পরিজনের সঙ্গে ঈদ করতে পরদিন
এ যাত্রায় যোগ দেন আরও মানুষ।
এর আগে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী লঞ্চে উঠার পর
জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম সনদ দেখাতে হবে জানালেও সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে তা দেখা যায়নি।

এ বিষয়ে সুন্দরবন গ্রুপের মহাব্যবস্থাপক আবুল কালাম
ঝন্টু বলেন, “কেবিনের যাত্রীদের জাতীয় পরিচয়পত্র দেখানো বাধ্যতামূলক। তবে ডেকের যাত্রীর
ক্ষেত্রে সম্ভব নয়।”
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়- বুয়েটের দুর্ঘটনা
গবেষণা কেন্দ্রের এক সমীক্ষায় দেখা যায়, ঈদের সময় নৌপথে সোয়া লাখ যাত্রী প্রতিদিন
ঢাকা ছেড়ে যান।
সদরঘাট থেকে অন্য সময়ে দিনে ৮০টির মতো লঞ্চ ছাড়লেও ঈদযাত্রায় তা বেড়ে ২০০টির মতো
হয়ে উঠে। এর মধ্যে চাঁদপুরসহ কাছাকাছি গন্তব্যের লঞ্চ সকালে ছাড়ে, বিকালে ছাড়ে বরিশাল
অঞ্চলের লঞ্চ।
আরও পড়ুন