বৃহস্পতিবার এক টুইট
বার্তায় মাস্ক বলেন, ‘আজকের পর আর কোনো টেসলা শেয়ার বিক্রির পরিকল্পনা নেই। বৃহস্পতি
ও শুক্রবারের নথি অনুযায়ী, তিনি এই সপ্তাহে প্রায় ৯৬ লাখ শেয়ার বিক্রি করেছেন, যা
কোম্পানিতে তার শেয়ারের শতকরা পাঁচ দশমিক ছয় ভাগ।
তবে, এই হিসাবে সম্প্রতি
মাস্কের বিক্রি করা সব টেসলা শেয়ার অন্তর্ভূক্ত রয়েছে কিনা তা স্পষ্ট নয়। টেসলা
তাৎক্ষণিকভাবে রয়টার্সের মন্তব্যের অনুরোধে সাড়াও দেয়নি।
সোমবার মাস্ক চার হাজার
চারশ কোটি ডলারে টুইটার কেনার বিষয়টি চূড়ান্ত করেন। এর ফলে বিশ্বব্যাপী নেতা ও গুরুত্বপূর্ণ
ব্যক্তিদের ব্যবহার করা এই সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের নিয়ন্ত্রণ চলে আসছে বিশ্বের
সবচেয়ে ধনী এই ব্যক্তির কাছে। ফোর্বসের হিসাব অনুসারে মাস্কের মোট সম্পদের পরিমাণ
২৬৮ বিলিয়ন ডলার।
মাস্ক কীভাবে বাকি ১২.৫
বিলিয়ন ডলারের ইক্যুইটি অর্থায়ন সংগ্রহ করবেন তা পরিষ্কার নয়। ব্যক্তিমালিকানাধীন
রকেট নির্মাতা কোম্পানি স্পেসএক্সে মাস্কের ৪৩.৬১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। স্পেসএক্সের
বাজার মূল্য ১০০ বিলিয়ন ডলার বলে হিসাব রয়েছে।
শুক্রবার সকালের লেনদেনে
টেসলার শেয়ারদর প্রায় ৫ শতাংশ বেড়েছে। এর আগে ৪ এপ্রিল মাস্ক টুইটারের ৯ শতাংশের
বেশি শেয়ার কেনার পর থেকে মূল্য ২০ শতাংশ কমে গিয়েছিল।
এই চুক্তিতে ইক্যুইটির
অংশ কমিয়ে আনার জন্য মাস্ক অংশীদারের খোঁজ করছেন। তবে, এ বিষয়ে ওয়াকিবহাল একজন রয়টার্সকে
বলেছেন, সেটির সম্ভাবনা এখনও বাস্তবতার অনেক দূরে।
ইলেকট্রিক গাড়ি নির্মাতা
টেসলায় মাস্ক তার শেয়ারের ১০ শতাংশ শেয়ার বিক্রি কবেন কি না সে বিষয়ে টুইটার ব্যবহারকারীদের
ভোট চাওয়ার পর নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে এক হাজার ছয়শ ৪০ কোটি ডলারের শেয়ার বিক্রি
করেন তিনি। সে ঘটনার পর এটিই তার প্রথম টেসলা স্টক বিক্রয়।