শনিবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) সহকারী পরিচালক মো. শাহাদাত হোসেন।
মাওয়া ঘাটের এই সহবন্দর কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “লঞ্চ ঘাটে আটকেপড়া যাত্রীদের ফেরিতে করে পারাপারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে মাইকিংও করা হয়েছে। ঘাটে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে লঞ্চ উঠা যাত্রীদের নামিয়ে ফেরিতে উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।”
কালবৈশাখীর আশঙ্কা ও শিমুলিয়া নদীবন্দরে অভ্যন্তরীণ নৌ-পথে দুই নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সঙ্কেত বলবৎ থাকায় পরবর্তীতে নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
তবে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ঘাটে দায়িত্বরত বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. শফিকুল ইসলাম।
শিমুলিয়া থেকে এই দুই নৌ-পথে দৈনিক ৮৫টি লঞ্চ চলাচল করছিল। অন্য সময়ে ভোর ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলাচল করলেও ঈদের কারণে আগামী ১৫ মে পর্যন্ত রাত ১০টা পর্যন্ত চলাচল করছিল। কিন্তু বৈরি আবহাওয়ার কারণে শুক্রবারও রাত ৯টা থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ ছিল।
তবে সকাল ৬টা থেকে আবার চলাচল শুরু করে। বন্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত প্রায় ৩০০ ট্রিপ দেয় লঞ্চগুলো।
এদিকে ঘাট কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রায় ৫০ হাজার মানুষ এই বন্দর ব্যবহার করে পদ্মা পারাপার হয়েছে।
আরও পড়ুন:
শিমুলিয়া-পাটুরিয়া ঠাসা ঘরমুখোদের ভিড়ে
শিমুলিয়ার সঙ্গে ফেরি চলাচল স্বভাবিক
কুমিল্লায় যানজট নেই, চট্টগ্রাম মহাসড়কেও স্বস্তি
ভারী যানবাহনকে পাটুরিয়া ঘাট ব্যবহারের অনুরোধ প্রতিমন্ত্রীর