ক্যাটাগরি

বিশ্বযুদ্ধের ক্ষতিপূরণ: ইতালিকে জাতিসংঘের আদালতে নিল জার্মানি

আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতে (আইসিজে) দেওয়া আবেদনে জার্মানি বলেছে, ২০১২ সালের এক রায়ে ক্ষতিপূরণের দাবি গ্রহণযোগ্য হবে না বলা সত্ত্বেও ইতালি তার অভ্যন্তরীণ আদালতে এ সংক্রান্ত মামলার অনুমোদন দিয়ে আসছে।

ওই রায়ের পর ইতালিতে এ ধরনের ২৫টির বেশি নতুন মামলা হয়েছে; যার কয়েকটির রায়ে ইতালির আদালত জার্মানিকে ক্ষতিপূরণ দিতে বলেছে বলেও জানিয়েছে বার্লিন।

ইতালির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতে জার্মানির এ মামলায় রায় হতে কয়েকবছর পর্যন্ত লাগতে পারে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

বার্লিন বলছে, ইতালিতে চলমান দুটি মামলার কারণে তারা এখন আন্তর্জাতিক আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে। ওই দুই মামলার রায়ে আর্থিক ক্ষতিপূরণ নিশ্চিতে রোমে জার্মানির মালিকানাধীন সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ আসতে পারে বলে ধারণাও করছে তারা।

ইতালির আদালত জানিয়েছে, জার্মানির মালিকানাধীন কিছু ভবন বাজেয়াপ্ত করে বিক্রির নির্দেশ দেওয়া হবে কিনা, ২৫ মে সে বিষয়ক সিদ্ধান্ত জানাবে তারা। ওই ভবনগুলোর মধ্যে কয়েকটিতে জার্মান সাংস্কৃতিক, ঐতিহাসিক ও শিক্ষাবিষয়ক ইনস্টিটিউট অবস্থিত।

দুই দেশের মধ্যে এই বিরোধের সূত্রপাত ২০০৮ সালে; ওই বছর ইতালির সর্বোচ্চ আদালত জার্মানিকে ১৯৪৪ সালে তুসকানিতে জার্মান বাহিনীর হাতে নিহত ২০৩ জনের মধ্যে ৯ জনের আত্মীয়স্বজনকে ১০ লাখ ইউরো ক্ষতিপূরণ দিতে বলেছিল।

জার্মানির যুক্তি হচ্ছে, ১৯৪৫ সালে বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর তারা ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে শত শত কোটি ইউরো ক্ষতিপূরণ দিয়েছে।

আইসিজেতে তাদের সাম্প্রতিক মামলায় ২০১২ সালের রায়ের অংশবিশেষও তুলে দিয়েছে তারা; যেখানে বলা হয়েছে, ইতালি তার অভ্যন্তরীণ আদালতে এ ধরনের ক্ষতিপূরণ মামলার অনুমতি দিয়ে আন্তর্জাতিক আইনে জার্মানিকে দেওয়া দায়মুক্তি মানার ক্ষেত্রে যে বাধ্যবাধকতা রয়েছে, তা লংঘন করেছে।

জাতিসংঘ আদালতে রায় হতে কয়েকবছর লাগতে পারে বিবেচনায় জার্মানি এই মামলা চলাকালে ইতালি যেন তাদের কাছে থাকা জার্মান সম্পত্তি নিলামে তুলতে না পারে, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে।

নেদারল্যান্ডসের হেগভিত্তিক আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালত জাতিসংঘের প্রধান বিচারিক সংস্থা; এ আদালতের অন্যতম মূল কাজ হচ্ছে বিভিন্ন দেশের মধ্যে আইনি বিরোধ নিষ্পত্তি করা।