ইনটেল প্রধান প্যাট গেলসিঙ্গার মার্কিন
বার্তাসংস্থা সিএনবিসিকে শুক্রবার বলেছেন, “আমরা ধরে নিয়েছি সেমিকন্ডাক্টর ঘাটতি ২০২৪
সালেও থাকবে। ২০২৩ সাল পর্যন্ত থাকবে বলে আগেই ধারণা করেছিলাম আমরা। ঘাটতির প্রভাব
এখন যন্ত্রাংশের ওপর পড়ছে এবং কিছু কারখানা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে।”
তবে, চিপ সঙ্কটের বিষয়টি ক্রমাগত পরিবর্তিত
হচ্ছে। সকল ধরনের চিপের ওপর সমান প্রভাব পড়ছে– এমনটাও নয়। নির্দিষ্ট কিছু শিল্প ও যন্ত্রাংশ
উৎপাদন খাতে এই ঘাটতির প্রভাব বেশি।
অন্যদের তুলনায় ইনটেলের নিজস্ব চিপ উৎপাদন
ও সরবরাহ তুলনামূলক ভালো করছে বলে জানিয়েছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ভার্জ। ২০২২ সালের
প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন উপস্থাপনের সময় গেলসিঙ্গার বলেন, “অনেক বছরের মধ্যে
প্রথমবারের মতো ক্রেতাদের চাহিদার কাছাকাছি যেতে পারছে ইনটেল।”
ভার্জ জানিয়েছে, চিপ সঙ্কট ২০২৪ সাল
অবধি থাকবে বলে গেলসিঙ্গার আদতে নতুন উৎপাদন ব্যবস্থায় নতুন পণ্য উৎপাদনের কথা বলেছেন,
কেবল বিদ্যমান উৎপাদন ব্যবস্থা নয়।
আরেক প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ডিজিটাইমসের
প্রতিবেদন অনুযায়ী, চিপ নির্মাণের আনুসাঙ্গিক যন্ত্রাংশের সরবরাহ ১৮ মাস পিছিয়ে আছে,
২০২১ সালে ছয় মাস পিছিয়েছিল এই সরবরাহ ব্যবস্থা।
চিপ সঙ্কটে সবচেয়ে বড় ধাক্কা লেগেছিল
সিপিইউ, জিপিইউ এবং গেইমিং কনসোল নির্মাণ খাতে। সেই ঘাটতি কমে এলেও নেটওয়ার্কিং চিপ
বিক্রেতারা এখনও সঙ্কটের মধ্যেই আছেন।
সাম্প্রতিক সময়ে নতুন উৎপাদন কারখানা
নির্মাণে ব্যাপক হারে বিনিয়োগ করতে শুরু করেছে ইনটেল। যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও, অ্যারিজোনা
এবং জার্মানিতে নতুন কারখানা নির্মাণ করছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে ভার্জ জানিয়েছে, চিপ সঙ্কট
থেকে উত্তরণের আগে কারখানাগুলো চালু হওয়ার সম্ভাবনা নেই।