ক্যাটাগরি

ল্যাম্পার্ডের এভারটনে ধরাশায়ী চেলসি

নিজেদের মাঠে রোববার প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে ১-০ গোলে জিতেছে এভারটন। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ব্যবধান গড়ে দেওয়া গোলটি করেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রিশার্লিসন।

গডিসন পার্কে চেলসির বিপক্ষে প্রিমিয়ার লিগে সবশেষ তিন ম্যাচে জয় পেল এভারটন। ১৯৭০ থেকে ১৯৭৩ সালের মধ্যে লন্ডনের ক্লাবটির বিপক্ষে তারা ঘরের মাঠে টানা চার ম্যাচ জিতেছিল।

বল দখল, আক্রমণ সবকিছুতেই এগিয়ে থাকা চেলসি বার বার খেই হারিয়েছে গোলের সামনে। দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়ে তাদের একের পর এক প্রচেষ্টা রুখে দিয়েছেন এভারটন গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ড। তার লড়াই ব্যর্থ হয়নি, দলকে ৩ পয়েন্ট এনে দিয়েছেন রিশার্লিসন।

এরপরও অবশ্য অবনমনের ঝুঁকিতেই আছে এভারটন। ৩৩ ম্যাচে ৯ জয় ও ৫ ড্রয়ে ১৮ নম্বর স্থানে আছে তারা। ৩৪ ম্যাচে ৬৬ পয়েন্ট নিয়ে তিনে চেলসি।

প্রথম মিনিটেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল এভারটন। ডি-বক্সের বাইরে থেকে অ্যান্থনি গর্ডনের ফ্রি-কিক পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়।

স্বাগতিক দর্শকদের উজ্জীবিত সমর্থন ও এভারটনের আক্রমণাত্মক ফুটবলে শুরুর দিকে গুছিয়ে নিতে কিছুটা সময় নেয় চেলসি।

প্রথমার্ধে দুই দলের কেউই উল্লেখযোগ্য সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। বেশ কয়েকটি আক্রমণ শানালেও বিরতির আগে লক্ষ্যে কোনো শট রাখতে ব্যর্থ হয় টুখেলের দল।

৪৬তম মিনিটে দারুণ দক্ষতায় দলকে এগিয়ে দেন রিশার্লিসন। নিজেদের সীমানায় পায়ে বল বেশি সময় রেখে বিপদ ডেকে আনেন সেসার আসপিলিকুয়েতা। তার কাছ থেকে বল কেড়ে সতীর্থের সঙ্গে বল দেওয়া নেওয়া করে ঠিকানা খুঁজে নেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড।

গোল পেয়ে চেলসিকে চেপে ধরে এভারটন। তিন মিনিট পর দলকে ২-০ তে এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ নষ্ট করেন ভিটালি মিকোলেনকো। লাইন ছেড়ে বেরিয়ে এসে চেলসিকে বিপদমুক্ত করেন গোলরক্ষক এদুয়াঁ মঁদি। মিকোলেনকোর শট পোস্টের বাইরে দিয়ে উড়ে যায়।

নিজেদের গুছিয়ে নিয়ে আক্রমণের ধার বাড়ায় চেলসি। ৫৯তম মিনিটে প্রায় সমতা টেনে ফেলেছিলেন ম্যাসন মাউন্ট। কাই হার্ভাটজের কাছ থেকে বল পেয়ে শট নেন তিনি, যা বাধা পায় পোস্টে। এরপর বক্সের ভেতর ফাঁকায় বল পেয়ে গিয়েছিলেন আসপিলিকুয়েতা। দারুণ সেভে তার চেষ্টা ভেস্তে দেন পিকফোর্ড।

পরের মিনিটে আবারও এভারটনের ত্রাতা পিকফোর্ড। কর্নার থেকে বল পেয়েছিলেন আন্টোনিও রুডিগার। সামনে এগিয়ে গিয়ে তাকে ব্যর্থ করে দেন ইংলিশ গোলরক্ষক।

আক্রমণ-প্রতিআক্রমণে জমে ওঠা ম্যাচে দুই দলই দারুণ কিছু সুযোগ তৈরি করে। যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে মার্কোস আলোনসোর সঙ্গে ‘ওয়ান-টু-ওয়ান’ খেলে ডি-বক্সে প্রবেশ করেন মাতেও কোভাচিচ। ক্রোয়াট মিডফিল্ডারের জোরাল শট রুখে দেন ম্যাচজুড়ে অসাধারণ নৈপুণ্য দেখানো পিকফোর্ড।

লিগ শিরোপার জমজমাট লড়াই সীমাবদ্ধ শীর্ষ দুই স্থানে থাকা ম্যানচেস্টার সিটি ও লিভারপুলের মধ্যে। ৩৪ রাউন্ড শেষে দুই দলের পয়েন্ট যথাক্রমে ৮৪ ও ৮২।

সমান ম্যাচে ৬১ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বর স্থানে টটেনহ্যাম হটস্পার।