ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, প্রায় ১শ’ জনকে প্রথম দফায় সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। তারা সোমবার জেপোরোজিয়া শহরে পৌঁছে যাবে।
রোববার কারখানার বাঙ্কারগুলো থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হয়। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক ফটোসাংবাদিক এদিন একটি অস্থায়ী আবাসে কয়েকডজন মানুষকে পৌঁছতে দেখেছেন।
জাতিসংঘ নিশ্চিত করে জানিয়েছে যে, শনিবার থেকেই ইস্পাত কারখানার লোকজনকে নিরাপদ এলাকা দিয়ে বের করে আনার অভিযান চলছে।
জাতিসংঘের মুখপাত্র সাভিয়ানো আব্রেউ বলেছেন, আন্তর্জাতিক রেডক্রস ‘আইসিআরসি’ এবং যুদ্ধের কয়েকটি পক্ষের সমন্বয়ে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, মারিউপোলের যারা ইউক্রেইন-নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে যেতে চেয়েছিল তাদেরকে জাতিসংঘ এবং রেডক্রসের প্রতিনিধিদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্ত্রণালয় জানায়, ৮০ জনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। রেডক্রস জানায়, মারিউপোলের কারখানা থেকে লোকজনকে সরিয়ে আনতে তাদের গাড়িবহর ২৯ এপ্রিলে যাত্রা শুরু করে ২৩০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে শনিবার স্থানীয় সময় সকালেই গন্তব্যে পৌঁছায়।
তবে কেবল কারখানাই নয় মারিউপোলে অন্যান্য আরও জায়গায় আটকা পড়ে আছে আরও প্রায় ১ লাখ অধিবাসী। তারা কয়েকসপ্তাহ ধরে পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাসবিহীন অবস্থার মধ্যে বেঁচে থাকার জন্য সংগ্রাম করছে।
রোববারেই তাদেরকে সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরুর কথা ছিল। কিন্তু নিরাপত্তাজনিত কারণে তাদেরকে সরানোর কাজ সোমবার সকাল পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে মারিউপোলের সিটি কাউন্সিল।