সেমি-ফাইনালের
দ্বিতীয় লেগে বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার রাত ১টায় ঘরের মাঠে লিভারপুলের মুখোমুখি হবে ভিয়ারিয়াল। গত সপ্তাহে অ্যানফিল্ডে
প্রথম লেগে ২-০ গোলে হেরেছিল স্প্যানিশ দলটি।
চ্যাম্পিয়ন্স
লিগের সেমি-ফাইনালে প্রথম লেগে দুই বা এর বেশি গোলের ঘাটতি পুষিয়ে পরের ধাপে
যাওয়ার নজির আছে কেবল লিভারপুলের। ২০১৮-১৯ মৌসুমে বার্সেলোনার মাঠে ৩-০ গোলে হারের
পর অ্যানফিল্ডে ৪-০ গোলে জিতেছিল ইংলিশ দলটি।
প্যারিসের
ফাইনালে যেতে হলে দ্বিতীয় দল হিসেবে সেটি করে দেখাতে হবে ভিয়ারিয়ালকে। কিন্তু
প্রথম লেগে প্রতিপক্ষের মাঠে বেশ ভুগতে দেখা গেছে তাদের। গোলের জন্য শট নিতে পারে
স্রেফ একটি। সেটিও ছিল না লক্ষ্যে।
ইয়ুর্গেন
ক্লপের বর্তমান দলটিকে এর আগে ‘সর্বকালের সেরা’ লিভারপুল দল হিসেবে আখ্যায়িত
করেছিলেন এমেরি। এখন অবশ্য তার চোখে বিশ্বেরই সেরা দল লিভারপুল। তবে সোমবার
সংবাদ সম্মেলনে এমেরি বললেন, ফিরতি লড়াইয়ের
জন্য তার দল প্রস্তুত।
“আমরা খুবই রোমাঞ্চিত। ফেভারিটরা তাদের স্টেডিয়ামে ভালো খেলেছে, যদিও আমরা ভালোভাবে রক্ষণ সামলাতে পেরেছি। ঘরের মাঠে খেলার জন্য আমরা
প্রস্তুত, বিশ্বের সেরা দলের বিপক্ষে আমাদের সুযোগ
রয়েছে…এই পরীক্ষায় উতরে যাওয়া দুর্দান্ত হবে। আমরা সেটি পারব কি-না, আমি জানি না।”
চ্যাম্পিয়ন্স
লিগে অতীতে প্রত্যাবর্তনের গল্প লেখার নজির তো ডাগআউটে দাঁড়িয়ে দেখেছেন এমেরিও।
২০১৬-১৭ মৌসুমে শেষ ষোলোর প্রথম লেগে ৪-০ গোলে জিতে বার্সেলোনার মাঠে খেলতে
গিয়েছিল এমেরির তখনকার দল পিএসজি। কাম্প নউয়ে তাদের ৬-১ গোলে হারিয়ে শেষ আটে জায়গা
করে নিয়েছিল কাতালান দলটি।
ভিয়ারিয়াল কোচ উনাই এমেরি
এমেরি
যদিও মনে করিয়ে দিলেন, সেই
ম্যাচের পর থেকে অনেক কিছুই বদলে গেছে। ঘরের মাঠে খেলা বলেই বেশি আত্মবিশ্বাসী
তিনি।
“পিএসজির বিপক্ষে বার্সার ম্যাচের পর থেকে অনেক কিছুই বদলে গেছে, এমনকি যেগুলো আমাদের হাতে নেই। প্রথম পরিবর্তনটি হলো আমরা আমাদের ভক্তদের
সামনে লা সিরামিকায় খেলব। আমাদের জিততে হবে, কিন্তু আমাদের
রক্ষণাত্মক খেলতে হবে এবং সেখান থেকে আমাদের আক্রমণের পথ খুঁজে বের করতে হবে।”
চ্যাম্পিয়ন্স
লিগে ঘরের মাঠে ভিয়ারিয়ালের রেকর্ডটা দারুণ। এখানে নকআউট পর্বে সাত ম্যাচে তারা
অপরাজিত, যদিও এর পাঁচটি শেষ হয় সমতায়।
এবারের
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সবচেয়ে বড় চমকের নামও এই ভিয়ারিয়াল। ইউভেন্তুস ও বায়ার্ন
মিউনিখের মতো দলকে ছিটকে দিয়ে তারা উঠে আসে সেমি-ফাইনালে। শেষ আটে ঘরের মাঠেই প্রথম
লেগে বায়ার্নকে তারা হারিয়ে দেয় ১-০ গোলে। সেই ম্যাচ থেকে এবার অনুপ্রেরণা খুঁজছেন
তরেস।
“বায়ার্নের বিপক্ষে ম্যাচটি উদাহরণ হিসেবে কাজ করতে পারে। তারা ফেভারিট
ছিল এবং আমাদের স্টেডিয়ামে আমরা তাদের হারিয়েছি। আমরা কীসের মধ্যে আছি এবং আমাদের
কী করা দরকার, তা জানি। আমাদের পরিকল্পনা আছে। গুরুত্বপূর্ণ
ম্যাচে সবসময় খুব শক্তিশালী ভিয়ারিয়ালকে দেখা গেছে।“