মঙ্গলবার গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোনো কোভিড রোগীর মৃত্যুও হয়নি। ফলে মহামারীর মধ্যে টানা ত্রয়োদশ দিন মৃত্যুহীন পার করল বাংলাদেশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বুলেটিনে নিম্নমুখী সংক্রমণের হারের মধ্যে ঈদ উদযাপনের এ সময়ে গত এক দিনে সাত জন করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার খবর দেওয়া হয়; যাদের সবাই ঢাকার বাসিন্দা। দৈনিক শনাক্তের এ সংখ্যা মহামারীর শুরুর দিকের ২০২০ সালের ৩ এপ্রিলের পর সর্বনিম্ন। এতে করে দুই বছর এক মাস পর সবচেয় কম রোগী শনাক্ত হল।
এর আগে ২০২০ সালের ৩ এপ্রিল এর চেয়ে কম
রোগী শনাক্ত হয়েছিল। সেদিন ৫ জন রোগী শনাক্ত করার কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার শুন্য
দশমিক ৪২ শতাংশ। আগের দিন এই হার শূন্য দশমিক ৪০ শতাংশ ছিল।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৯ লাখ ৫২ হাজার ৭৩৩ জন।
গত ২০ এপ্রিলের পর কোভিডে নতুন কারও মৃত্যু না হওয়ায় মৃতের মোট সংখ্যা আগের মতই ২৯ হাজার ১২৭ জন আছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২৭৮ জন। তাদের নিয়ে ১৮ লাখ ৯৬ হাজার ২৭৯ সুস্থ্য হয়ে উঠলেন।
এ হিসাবে দেশে এখন সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ২৭ হাজার ১০২ জন। অর্থাৎ তারা কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পর এখনও সুস্থ হননি।
গত একদিনে ১ হাজার ৬৮৬টি নমুন পরীক্ষার মধ্য সাত জনের কোভিড ধরা পড়ে। শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৪২ শতাংশ।
দেশে শনাক্ত রোগীদের সবাই ঢাকা বিভাগের এবং সবাই ঢাকা মহানগরের বাসিন্দা। দেশের বাকি সাতটি বিভাগের কোনো জেলায় করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়নি।
মহামারীর মধ্যে সার্বিক শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ। আর মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। পরে
দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় ডেল্টা ধরনের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে পরের বছর ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড
১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ২০২০ সালের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর
তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২০২১ সালের ৫ অগাস্ট ও ১০ অগাস্ট ২৬৪ জন করে
মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।
বিশ্বে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৬২ লাখ ৩৮ হাজারের
বেশি মানুষ। বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ৫১ কোটি ৪২ লাখের বেশি।