এ নিয়ে সাড়া জাগানো এ নথিতে বাংলাদেশের ঠিকানা ব্যবহার করে অফশোর কোম্পানি খোলা ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়াল ১১।
সবশেষ নাম আসা তিন ব্যক্তির মধ্যে একজন নারী এবং অপর দুজন একই ঠিকানা ব্যবহার করে একই তারিখে কোম্পানি খুলেছেন বলে মঙ্গলবার আইসিজে প্রকাশিত তালিকায় দেখা গেছে।
অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের জোট- ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টসের (আইসিআইজে) মঙ্গলবার ফাঁস হওয়া নয় হাজার অফশোর কোম্পানির নথির মধ্যে নাম থাকা ব্যক্তিরা হলেন- এস. হেদায়েত উল্লাহ, এস. রুমি সাইফুল্লাহ ও শাহেদা বেগম শান্তি।
প্যান্ডোরা পেপার্সের বাংলাদেশের এ তালিকায় প্রথম দুজনের নাম আবার কিছুটা ঘুরিয়ে উল্লাহ এস. হেদায়েত ও সাইফুল্লাহ এস. রুমি নামেও এসেছে।
আইসিআইজের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, হেদায়েত ও সাইফুল্লাহ রাজধানী ঢাকার একই বাড়ির ঠিকানা দিয়েছেন, যেটি বারিধারা ডিওএইচএসের নর্দান রোডে অবস্থিত। উভয়ের নামেই ২০১৮ সালের মার্চ থেকে হংকংয়ের ট্রান্সগ্লোবাল কনসাল্টিং (এইচকে) লিমিটেড নামের একই কোম্পানি খোলার তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
অপরদিকে শাহেদা বেগম শান্তি সিলেট নগরীর শাহজালাল উপশহরে স্প্রিং গার্ডেন টাওয়ার নাম একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের ঠিকানা দিয়েছেন কোম্পানি খোলার সময়। তার অফশোর কোম্পানির নাম জাস লিমিটেড। কোম্পানি খোলার সময় উল্লেখ করা হয়নি।
এর আগে গত ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের সঙ্গে সংযুক্ত নামের তালিকায় আট ব্যক্তির নাম প্রকাশ করা হয়। তারা সবাই বাংলাদেশের ঠিকানা ব্যবহার করে ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডে কোম্পানি নিবন্ধন করেছেন বলে বেরিয়ে এসেছিল নথিতে।
ওই সময় নাম এসেছিল নিহাদ কবির, মোহাম্মদ ভাই, ইসলাম মঞ্জুরুল, সাইদুল হুদা চৌধুরী, অনিতা রানী ভৌমিক, সাকিনা মিরালি, ওয়াল্টার পোলাক ও ড্যানিয়েল আর্নেস্টো আইউবাত্তি।
ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ড ছাড়াও পরিচিত বিভিন্ন দেশ ও এলাকায় অফশোর কোম্পানি হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ধনী ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের গড়ে তোলা কোম্পানির তথ্য ও কর ফাঁকির তথ্য প্রকাশ করেছে প্যান্ডোরা পেপার্স।
প্রথম ধাপে ২০২১ সালের ৩ অক্টোবর ৯৫ হাজার অফশোর ফার্মের প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ নথি নিয়ে সাড়ে ছয়শর বেশি সাংবাদিকের পরিশ্রমে খুলেছে এ প্যান্ডোরার বাক্স। প্রথম ধাপের তালিকা প্রকাশের পরই আলোচনার ঝড় তোলে। পরে ৬ ডিসেম্বর দ্বিতীয় ধাপের তালিকা প্রকাশ করে। আর মঙ্গলবার প্রকাশ করা হল চূড়ান্ত তালিকা।
অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের এ জোট মঙ্গলবার নয় হাজার এবং ৬ ডিসেম্বর রাতে অফশোর কোম্পানিতে বিনিয়োগ করা সাত লাখ ৪০ হাজার ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামের বিশাল তালিকা প্রকাশ করে।
যাদের নাম এসেছে, তারা আইন ভেঙে সম্পদ গড়েছেন- এমনটা বলছে না আইসিআইজে। তবে অর্থ পাচার করতে কিংবা কর ফাঁকি দিতে আইনের ফাঁক-ফোঁকর খুঁজেছেন অনেকেই।
বাংলাদেশি ঠিকানা দিয়ে করস্বর্গে কোম্পানি: প্যান্ডোরা পেপার্সে ৮ নাম
প্যান্ডোরা পেপার্স: বিশ্ব নেতাদের গোপন সম্পদ ও লেনদেনের তথ্য ফাঁস
প্যান্ডোরা পেপার্স: বিশ্ব নেতাদের দাবি, তারা ‘অন্যায় করেননি’
‘অর্থ পাচারে’ নাম এসেছে যাদের, তাদের নিয়ে পদক্ষেপ কী: হাই কোর্ট