ক্যাটাগরি

শ্রীলঙ্কায় সরকারবিরোধী ধর্মঘটে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, স্কুল বন্ধ

এ কারণে শুক্রবার দেশটির হাজার
হাজার দোকান, স্কুল ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।

ভারত মহাসাগরের এ দ্বীপরাষ্ট্রটি
কোভিড-১৯ মহামারীতে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর বাড়তে থাকা তেলের মূল্য ও প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া
রাজাপাকসের সরকারের কর হ্রাসের সিদ্ধান্তে মারাত্মক অর্থ সংকটে পড়ে।

চলতি সপ্তাহে দেশটির অর্থমন্ত্রী
জানিয়েছেন, ব্যবহার করার মতো মাত্র ৫ কোটি ডলার রিজার্ভ আছে শ্রীলঙ্কার। 

ব্যাপক মুদ্রাস্ফীতি ও
আমদানীকৃত খাদ্য, জ্বালানি ও ‍ওষুধের
সংকটের কারণে
দ্বীপটিতে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ
চলছে, যা
কখনো কখনো
সহিংসতায় রূপ
নিচ্ছে। 

শুক্রবার দেশজুড়ে প্রধান শহরগুলোর
দোকানপাট বন্ধ ছিল। বাস, ট্রেনের চালক ও শ্রমিকরা ধর্মঘটে যোগ দেওয়ায় গণপরিবহন বন্ধ
আছে, এতে যাত্রীরা বিভিন্ন জায়গায় আটকা পড়ে আছেন।

শুক্রবার সকালে বাণিজ্যিক রাজধানী
কলম্বোর প্রধান রেলস্টেশন বন্ধ ছিল। নিকটবর্তী টার্মিনাল থেকে শুধু কিছু সরকারি বাস
চলাচল করেছে।

প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসেকে অপমান করতে কিছু প্রতিবাদকারী ব্যারিকেডের ওপর আন্ডারওয়্যার রেখে সেগুলোতে ‘গোটা বাড়ি যাও’ শ্লোগান লিখে রেখেছে। ছবি: রয়টার্স

প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসেকে অপমান করতে কিছু প্রতিবাদকারী ব্যারিকেডের ওপর আন্ডারওয়্যার রেখে সেগুলোতে ‘গোটা বাড়ি যাও’ শ্লোগান লিখে রেখেছে। ছবি: রয়টার্স

দেশটির স্বাস্থকর্মীরাও ধর্মঘটে
যোগ দিয়েছেন। তবে হাসপাতাগুলোতে জরুরি পরিষেবা অব্যাহত আছে।

দেশটির পার্লামেন্টের দিকে যাওয়া
প্রধান সড়কের পাশে বিশ্ববিদ্যালয়ের শত শত শিক্ষার্থী ও অন্যান্য বিক্ষোভকারীরা বৃহস্পতিবার
থেকে অবস্থান নিয়ে আছেন। প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসেকে অপমান করতে কিছু প্রতিবাদকারী
ব্যারিকেডের ওপর আন্ডারওয়্যার রেখে সেগুলোতে ‘গোটা বাড়ি যাও’ ধরনের শ্লোগান লিখে রেখেছে।

এখানে অবস্থান নেওয়া প্রতিবাদকারী
পুর্নিমা মুহানদিরাম (৪২) বলেন, “আমরা রাজনৈতিক মিথ্যাচারে অসুস্থ ও ক্লান্ত হয়ে পড়েছি,
তাই এখানে অবস্থান নিয়েছি আমরা। আমরা প্রেসিডেন্ট ও তার সরকারকে বাড়ি পাঠাতে চাই।”

বিরোধীদলীয় নেতা সাজিথ প্রেমাদাসা
শুক্রবার পার্লামেন্টে বলেছেন, বিরোধীদল আগামী সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট ও সরকারের বিরুদ্ধে
অনাস্থা প্রস্তাব আনতে চায়। 

প্রেসিডেন্ট রাজাপাকসে পদত্যাগে
অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছেন, পরিবর্তে তার নেতৃত্বে ঐক্য সরকার গড়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।           

বিদেশি মুদ্রার তীব্র সংকটের
মধ্যে জরুরি আর্থিক সহায়তার জন্য আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের (আইএমএফ) দ্বারস্থ হয়েছে
শ্রীলঙ্কা।

আরও পড়ুন:

শ্রীলঙ্কাকে ২০ কোটি টাকার ওষুধ দিচ্ছে বাংলাদেশ
 

অর্থনৈতিক সংকটে দিশেহারা শ্রীলঙ্কার চা শ্রমিকরা
 

বিদ্যমান ‘অবাস্তব’ বাজেট পাল্টাবে শ্রীলঙ্কা
 

শ্রীলঙ্কাকে ৬০ কোটি ডলার দিতে রাজি বিশ্ব ব্যাংক