সবশেষ গত বৃহস্পতিবার প্রকাশিত নিকেই কোভিড-১৯ আরোগ্য সূচকে বাংলাদেশ পেয়েছে ৮০ পয়েন্ট। গত মার্চের শেষে ৭২ পয়েন্ট পেয়ে এ অবস্থান ছিল ১৩তম।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চলের ব্যবস্থাপনা, টিকা দেওয়ার হার এবং সামাজিক তৎপরতার ওপর ভিত্তি করে প্রতি মাসের শেষে এই সূচক প্রকাশ করা হয়।
এপ্রিল মাসের সূচকে ৭৯ পয়েন্ট পেয়ে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে দ্বিতীয় এবং বিশ্বের মধ্য ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে নেপাল।
এই অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে তৃতীয় অবস্থানে থাকা পাকিস্তান বিশ্বের অন্যান্য দেশের মধ্যে ২৩তম স্থানে রয়েছে। ৩১তম অবস্থান নিয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে অর্থনৈতিক সংকটে থাকা শ্রীলঙ্কা।
৬২ দশমিক ৫ পয়েন্ট পেয়ে হাইতির সঙ্গে যৌথভাবে ৭০তম অবস্থানে রয়েছে ভারত। সূচকের শীর্ষে থাকা দেশ কাতার এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত পেয়েছে ৮৭ পয়েন্ট।
গত কয়েক মাস ধরে বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমে আসছে। গত ২০ এপ্রিলের পর একটানা ১৬ দিন কোভিডে নতুন কারও মৃত্যু হয়নি।
শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত এক দিনে সারা দেশে ১৯ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে, যাদের ১৪ জনই ঢাকা জেলার বাসিন্দা।
নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৯ লাখ ৫২ হাজার ৭৬৬ জন। মহামারীর শুরুতে ২০২০ সালের ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর পর এপর্যন্ত ২৯ হাজার ১২৭ জন মারা গেছেন।
সরকারের তথ্য অনুযায়ী, মোট জনসংখ্যার ৭৫ দশমিক ৪৬ শতাংশ কোভিড টিকার অন্তত একটি ডোজ পেয়েছে। টিকার দুটি ডোজ পেয়েছে ৬৮ দশমিক ১৯ শতাংশ।