অ্যানফিল্ডে শনিবার টটেনহ্যামের মুখোমুখি হবে লিভারপুল।
শিরোপার লড়াইয়ে ম্যানচেস্টার সিটির (৮৩) চেয়ে ইয়ুর্গেন ক্লপের দল পিছিয়ে আছে ১
পয়েন্ট। এই পরিস্থিতিতে ড্র বা হার ডেকে আনতে পারে বড় বিপদ।
টটেনহ্যামের জন্যও ম্যাচটা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। সেরা চারে
থাকার আশা জিইয়ে রাখতে তাদেরও জয়ের বিকল্প নেই। ৩৪ ম্যাচে ৬১ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে
আছে তারা। চারে থাকা আর্সেনালের চেয়ে দলটি পিছিয়ে আছে ২ পয়েন্ট।
গুরুত্বপূর্ণ এই সময়ে এক পয়েন্ট হারানো মানেই সেরা চারের
লড়াই থেকে পিছিয়ে পড়া। ক্লপও তাই জানেন কতটা মরিয়া টটেনহ্যাম।
“টটেনহ্যাম কীভাবে ম্যাচ জেতে এটা ভাবতে
গেলেই দেখা যাবে, তারা দুর্দান্ত একটা ফুটবল দল…। সামনের দিকে (আক্রমণভাগে) তাদের গতি পাগলাটে। হ্যারি কেইন, কী দারুণ এক খেলোয়াড়। সে স্পষ্টতই এই ধরনের সঙ্গে খুব ভালোভাবে মানিয়ে
গেছে। তাদের (ফরোয়ার্ড) মধ্যে দুর্দান্ত বোঝাপড়া রয়েছে। আমি বলব রক্ষণের দিক থেকে
এটা সম্ভবত বড় চ্যালেঞ্জ, যা আমরা দীর্ঘ সময় ধরে মোকাবেলা
করে আসছি।”
“ফুটবল ম্যাচ জিততে হলে মাঠে সুযোগ তৈরি
করতে হবে, উপরে উঠে খেলতে হবে। তবে বল হারালে তখনই
প্রতিপক্ষের কাছে পৌঁছে যেতে হবে। এটা কঠিন। তাদের যতটা সম্ভব বেঁধে রাখার উপায়
খুঁজে বের করতে হবে।”
লিগে যাদের সঙ্গে শিরোপার লড়াই লিভারপুলের, সেই
ম্যানচেস্টার সিটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমি-ফাইনাল থেকে ছিটকে গেছে। তাদের বিপক্ষে
অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখে ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ।
ইউরোপ সেরার প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে যাওয়ায় লিগ শিরোপার
জন্য সিটি আরও দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হবে কি-না, এমন প্রশ্নের উত্তর দেন ক্লপ।
“হ্যাঁ, এটা (রিয়ালের
কাছে সিটির হার) খুব বড় ধাক্কা ছিল… সত্যিই কঠিন। এই ধরনের
রাত মোটেও সুখকর হয় না, পরের সকাল আনন্দময় হয় না। তবে এখন
তারা নিউক্যাসল ইউনাইটেডের বিপক্ষে রোববারের ম্যাচের জন্য তৈরি।”
২০১৮ সালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে রিয়ালের কাছে
হেরেছিল লিভারপুল। ক্লপ যে হারের পর বলেছিলেন, দুঃখে প্রলেপ দিতে পরের মৌসুমে আবার তিনি
রিয়াল মাদ্রিদের মুখোমুখি হতে চান।
২০১৯ সালের আসরে লিভারপুল ঠিকই ফাইনালে পা রাখে এবং
শিরোপা জিতে নেয়। তবে সেটা টটেনহ্যামকে হারিয়ে। এবার অবশ্য রিয়ালকে পাচ্ছে দলটি।
ক্লপের মনে এনিয়ে আলাদা ভালো লাগা আছে।
“সিটির জন্য অদ্ভুত এবং দুর্ভাগ্যজনক ছিল,
কিন্তু মাদ্রিদ ছিল অসাধারণ। তারা পিএসজি, চেলসি
এবং সিটিকে বিদায় করেছে…। এমন তিনটি দলকে বিদায় করা দল
অবশ্যই ফাইনাল খেলার দাবি রাখে।”
“এটা দারুণ একটা ব্যাপার হবে। আমরা ওই
(২০১৮ সালে) রাতে হাসতে পারিনি। কিন্তু সেটা আগের ঘটনা। আমি এখন ফাইনালে যেতে পেরে
এবং তাদের হারানোর চেষ্টার সুযোগ পেয়ে খুশি।”