শুক্রবার রাত ৮টার পর বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশেনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। এ পর্বে নেতৃত্ব দেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী কাদেরি কিবরিয়া।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, অপরাজিতা হক ও নুরুল আমিন দাঁড়িয়ে জাতীয় সংগীতে অংশ নেন।
একইসঙ্গে ভিনদেশিরাও দাঁড়িয়ে বাঙালিদের সঙ্গে কণ্ঠ মেলান। অংশগ্রহণকারীরা ‘জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগানে অনুষ্ঠানস্থল প্রকম্পিত করে তোলেন। শুরুর পর্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন চিত্র উপস্থাপন করা হয়।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশি শরণার্থীদের সাহায্যে এবং বাংলাদেশের পক্ষে আন্তর্জাতিক জনমত সুসংহত করতে এই ম্যাডিসন স্কয়ারে অনুষ্ঠিত হয় ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’। ঐতিহাসিক এই কনসার্টের ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে ‘গোল্ডেন জুবিলি বাংলাদেশ কনসার্ট’ আয়োজন করা হয়।
তবে ‘দ্য কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ এর দুই উদ্যোক্তা জর্জ হ্যারিসন কিংবা পণ্ডিত রবিশংকরের পরিবারের কেউ সুবর্ণজয়ন্তীর এ আয়োজনে ছিলেন না।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের চিরকুট ব্যান্ডের শারমিন সুলতানা সুমি ছয়টি গান পরিবেশন করেন। তবে তার জন্য মাত্র ২০ মিনিট সময় বরাদ্দ থাকায় কোনো গানই পুরোপুরি শেষ করতে পারেননি। সুমির সঙ্গে যন্ত্র সঙ্গীতে ছিলেন ইমন চৌধুরী ও জাহিদ নিরব।
এরপর জার্মানির রক ব্যান্ড স্করপিয়ন্স মঞ্চ সাজাতে ৩৫ মিনিটের অধিক সময় ক্ষেপণ করে। তবে স্কোরপিয়ন্স’র শিল্পীরা পর্দা উঠানোর পর নেচে উঠে গোটা মিলনায়তন।
রকস্টাররা সকলকে তাক লাগিয়ে এক ঘণ্টারও বেশি সময় গান পরিবেশন করেন। এ ব্যান্ডের শিল্পীদের মধ্যে ছিলেন ক্লাউস মেইন, রুডল্ফ শেঙ্কার, মিক্কে ডি, মাইকেল শেঙ্কার, ম্যাথিয়াস জাবস।
কনসার্ট উপলক্ষে ২০ হাজার আসনবিশিষ্ট মিলনায়তনের অধিকাংশই পরিপূর্ণ ছিল। দর্শক সারিতে বেশিরভাগ ছিলেন আমেরিকান। বিমুগ্ধচিত্তে তারা পুরো অনুষ্ঠান উপভোগ করেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের শতাধিক মুক্তিযোদ্ধাও উপস্থিত ছিলেন।
‘ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি’র চ্যান্সেলর আবুবকর হানিফ বলেন, “এ উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাচ্ছি। বহুজাতিক সমাজে বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিংয়ে অবশ্যই ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।”
বীর প্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা মঞ্জুর আহমেদ বলেন, “খুব ভালো লাগছে যে, ৫০ বছর আগে যে বিষয়টি আমরা মিস করেছি, যে সম্পর্কে শুনছি, ইতিহাসে পড়ছি, সেই কনসার্টের স্মরণে আজকের এ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হয়ে নিজেকে গৌরবান্বিত বোধ করছি।”
আরও খবর: