শনিবার দুপুরে কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোহান সরকার জানান, ওই কিশোরের বাবার দায়ের করা মামলায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আগের রাতে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেন তারা।
গ্রেপ্তাররা হলেন- উপজেলার ভারত সীমান্তবর্তী ভৈরবপুর গ্রামের নাহিদুল ইসলাম (২০), মো. নাজমুল হোসেন (২৩) ও জসিম উদ্দিন (২৭)।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, শুক্রবার রাতে ওই কিশোরের বাবা চারজনকে আসামি করে মামলা করেন। গ্রেপ্তাররা সবাই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। শনিবার দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকি এক আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছেন তারা।
গত মঙ্গলবার ঈদের দিন বিকালে বুড়িচং উপজেলার ভৈরবপুর এলাকায় ১৪ বছর বয়সী কিশোরকে তুলে নিয়ে ‘গাছে বেঁধে নির্যাতন’ করা হয়। পরে শুক্রবার নির্যাতনের ছবি ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, কিছুদিন আগে ১৪ বছর বয়সী এই কিশোরের বাবা একই গ্রামের দুলু মিয়ার ছেলে ফার্নিচার ব্যবসায়ী নাহিদুলের কাছ থেকে ৪৫০ টাকা বাকিতে একটি খাট কেনেন। ঈদের কয়েকদিন আগে নাহিদুল তাদের বাড়ি গিয়ে বকেয়া টাকার জন্য গালমন্দ করেন। এ সময় ছেলেটির বাবা সপ্তাহ খানেক পরে টাকা পরিশোধ করবেন বলে জানলে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি এবং হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
অভিযোগে আরও বলা হয়, ঈদের দিন তার ছেলেটি বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে বের হন। এ সময় নাহিদুল, তার ভাই নাজমুল ও সঙ্গে থাকা আনোয়ার ও জসিম তার ছেলেকে দেশি অস্ত্র ঠেকিয়ে টানা-হেঁচড়া করে নাজমুলের বাড়ি নিয়ে যান।
“পরে গাছের সঙ্গে বেঁধে তাকে বেধড়ক মারধর করে। এ সময় স্থানীয় লোকজন মারধরের ভিডিও ও ছবি তুলে রাখে।”
খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি সচিব ও গ্রাম পুলিশ সেখান থেকে তার ছেলেকে উদ্ধার করে বলে মামলার বাদী জানান।