কোনো শিরোপা ছাড়াই চলতি মৌসুম শেষ করতে যাচ্ছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। লিগে দুই ম্যাচ বাকি থাকলেও শীর্ষ চারের আশা তাদের নেই বললেই চলে।
মৌসুম জুড়ে গোলের জন্য ভুগতে হয়েছে ইউনাইটেডকে। যেখানে শুধু ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর ওপর নির্ভর করতে হয়েছে দলটিকে। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে পর্তুগিজ তারকা করেছেন ২৪ গোল।
চোটের কারণে এদিনসন কাভানিকে পাওয়া যায়নি অনেকটা সময়। ফর্মহীনতায় ভুগছেন মার্কাস র্যাশফোর্ড। অন্যদিকে অঁতনি মার্সিয়াল ধারে যোগ দেন সেভিয়ায়। বান্ধবীকে ধর্ষণ ও নির্যাতনের অভিযোগ ওঠায় ম্যাসন গ্রিনউডকে বহিষ্কার করে ক্লাবটি।
সবকিছু মিলেই রাংনিক বুঝেছিলেন, অন্তত একজন স্ট্রাইকার লাগবে দলে। শনিবার ব্রাইটন এন্ড হোভ অ্যালবিয়নের বিপক্ষে ম্যাচের আগে ইউনাইটেড কোচ বললেন, ক্লাবের কাছ থেকে এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া পাননি তখন।
“ওই সময় আমাদের চারদিনের ছুটি ছিল। রোববার আমাকে ম্যাসন গ্রিনউডের সমস্যা সম্পর্কে বলা হয় এবং অঁতনি মার্সিয়াল তত দিনে চলে গেছে।”
“আমি সচেতন ছিলাম যে চারদিনের মধ্যে আমরা কিছু স্ট্রাইকার হারিয়েছি। তখনও আমরা তিনটি প্রতিযোগিতায় ছিলাম- চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, এফএ কাপ এবং লিগের চতুর্থ স্থানের লড়াই। আমি বোর্ডকে বলি… কিন্তু শেষ পর্যন্ত উত্তর ছিল- না।”
রাংনিকের কিছু পছন্দও ছিল এক্ষেত্রে। পোর্তোর লুইস দিয়াস, রিভার প্লেটের হুলিয়ান আলভারেস এবং ফিওরেন্তিনার দুসান ভ্লাহোভিচ ছিলেন এ তালিকায়।
দিয়াস পরে লিভারপুলে যোগ দেন। ভ্লাহোভিচ পাড়ি দেন ইউভেন্তুসে। আলভারেস পরের মৌসুম খেলবেন ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে।
রাংনিক বলছেন, ‘বাজারে তাদের সাহায্য করার মতো খেলোয়াড় আর ছিল না।’ কিন্তু ইউনাইটেড অন্তত চেষ্টাটা করতে পারতো বলে মনে করেন তিনি।
“আমি এখনো বিশ্বাস করি আমাদের অন্তত চেষ্টা করা উচিত ছিল। যদি আমরা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খুঁজে পেতাম। ৪৮ ঘণ্টা নোটিশ হিসেবে খুবই সংক্ষিপ্ত, কিন্তু ৪৮ ঘণ্টা কমও নয়। চেষ্টা করা এবং অভ্যন্তরীণ আলোচনার জন্য এই সময় মূল্যবান হতে পারত কিন্তু আমরা তা করিনি।”
আগামী মৌসুম থেকে এরিক টেন হাগ স্থায়ী কোচ হিসেবে থাকবেন ইউনাইটেডে। ৩৬ ম্যাচে ৫৮ পয়েন্ট নিয়ে যারা টেবিলে এখন ছয় নম্বরে রয়েছে। চারে থাকা আর্সেনালের চেয়ে পিছিয়ে আছে ৫ পয়েন্ট।