ক্যাটাগরি

কুয়াশায় ঢাকা পড়ল বৈশাখের সকাল

শনিবার ভোর থেকে মাঝারি ও ঘন কুয়াশায় দৃষ্টিসীমা অদূরেই আটকে যাচ্ছিল।
ভোর সাড়ে ৫টা থেকে সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত ছিল কুয়াশার রাজত্ব।

ফলে জেলার সড়ক ও মহাসড়কে বাস ও ট্রাকসহ অন্যান্য যানবাহনকে চলতে হয়েছে
হেডলাইট জ্বালিয়ে।

কুয়াশামাখা বৈশাখের সকালে প্রাতঃভ্রমণ ও কাজে বের হয়ে অনেকেই একে ব্যতিক্রমী
ঘটনা বলে অভিহিত করেছেন। প্রকৃতির ‘খেয়াল’ বলেছেন অনেকেই।

শেরপুরে শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ের সঙ্গে গরমের মাত্রাও বাড়ছে। আবার কখনও লাগছে
শীতের পরশ।

এদিকে শনিবার ভোরে ধোঁয়ামাখা কুয়াশায় এক অন্য প্রাকৃতিক পরিবেশটিকে মানুষ
উপভোগ করেছেন।

প্রাতঃভ্রমণকালে অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা আনিসুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর
ডটকমকে বলেন, ”এ সময়ে এই ধরনের কুয়াশা হয় না। এটি একটি ব্যতিক্রমী ঘটনা।


চৈত্রের অসময়ের কুয়াশা ঢেকেছে শেরপুর
 

ঢাকার আকাশে নিচে নেমে এল মেঘ
 

”সকালে বাসা থেকে রওনা হয়ে দেখলাম অনেক কুয়াশা। কুয়শার মধ্যে প্রায় ৪০
মিনিট হাঁটলাম। ভালোই লাগল। প্রকৃতি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রূপ ধারণ করে, এটাই স্বাভাবিক।”

এদিকে বৈশাখে এমন ঘন কুয়াশা কোনোদিন দেখেননি বলে জানান রিকশাচালক আব্দুল
খালেক।

ফুটপাতের দোকানি আবুল মিয়া বলেন, ”এ রকম কুয়াশা বৈশাখে আর পড়ে নাই। আইজ
দেখলাম।”

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ শাহিনুল ইসলাম বিডিনিউজ
টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এ রকম কুয়াশা অস্বাভাবিক কিছু নয়। সাধারণত কোনো এলাকায় মেঘ
নীচে নেমে এলে এবং তাপমাত্রা কম থাকলে মেঘলা আকাশের মতো আবহাওয়া বিরাজ করতে দেখা যায়।

শেরপুরে এমনই কিছু একটা হয়ে থাকতে পারে বলে মন্তব্য করেন ওই আবহাওয়াবিদ।

এর আগে আবহাওয়া অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক সমরেন্দ্র কর্মকার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর
ডটকমকে বলেছিলেন, “এটা রেয়ার কেস। অসময়ে এবনরমাল মেঘ- এটাকে সুডো মুনসুন অ্যাকটিভিটি
বলে। প্রতি বছর এমন আবহাওয়া থাকে না, মাঝে মাঝে দেখা যায়।”

২০২১ সালের এপ্রিলের শেষেও এরকম কুয়াশায় ঢাকা পড়েছিল শেরপুরের জনপদ।