স্থানীয় সাংবাদিক মিজানুর রহমান জানান, তার বাড়ি কনকসার এলাকায়। এই কনকসারের
বেদেপল্লিতে কয়েকদিন ধরে তারা থাকছে এবং এখানে সেখানে ইচ্ছামতো ঘোরাঘুরি করছে। কোনো
ধরনের কোয়ারেন্টিন মানছে না।
করোনাভাইরাস বৈশ্বিক মহামারীতে রূপ নেওয়ার পর সংক্রমণ এড়াতে ২৫ মার্চ থেকে
১৪ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রেখেছে ভারত সরকার।
এ কারণে অনেক বাংলাদেশি সেদেশে আটকে পড়েছেন। সীমিত সংখ্যায় মাঝেমধ্যে কয়েকজন করে অবশ্য
ফিরছেন বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে।
লৌহজংয়ের কনকসার ছাড়াও গোয়ালী মান্দ্রা ও খড়িয়া এলাকায় বেদেপল্লি রয়েছে বলে
মিজানুর জানান।
তিনি বলেন, বেদেপল্লির লোকজনের কোয়ারেন্টিনের কোনো ব্যবস্থা নেই। ভারত থেকে
যারা আসছে তারা দল বেঁধে প্রকাশ্য ঘুরে ফিরছেন। তাই স্থানীয় লোকজনের মাঝে করোনাভাইরাস
সংক্রমিত হওয়ার আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
“কয়েকদিন ধরে প্রায় প্রতি রাতেই ভারত থেকে বেদেরা দলে দলে গোয়ালী মান্দ্রা,
খড়িয়া ও কনকসার বেদেপল্লিতে আসছে।”
এ ব্যাপারে লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাবিরুল ইসলাম খান বলেন, “বেদেরা
সহজে কথা শুনতে চায় না। তাদেরকে বোঝানোর চেষ্টা চলছে। তাদের ওয়ার্ড মেম্বারসহ বেদেপল্লির
সর্দারদের নিয়ে আমরা এ বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তুলব।”