ক্যারিয়ারের বেশিরভাগ সময় চার নম্বরেই ব্যাট করেছেন রুট। এখানে তার সাফল্যও অনেক। তবে তিনেও তাকে নিয়ে টানাটানি হয়েছে বেশ। গত অ্যাশেজে দলের ব্যর্থতার পর সবশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে তিন নম্বরে উঠে আসেন তিনি।
ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে তিনে নেমে তিন টেস্টে সেঞ্চুরি করেন তিনি দুটি। দল যদিও হেরে যায় সিরিজ।
তবে স্টোকস নিশ্চিত করলেন, প্রিয় বন্ধুকে তিনি ফিরিয়ে দিচ্ছেন প্রিয় পজিশন, সেটা রুট ও দলের স্বার্থেই।
“জো-এর (রুট) সঙ্গে এর মধ্যেই কথা বলেছি আমি। ওকে আমি বলেছি চারে ফিরে যেতে, আমি নামব ছয়ে। জো যেখানেই ব্যাট করুক, রান পাবেই। তবে ওর সেরা পজিশন চার। এখানে খেললে হয়তো ওর গড় ৬০ (গত বছরের গড়) না হয়ে ৯০ হয়ে যাবে, সেটা হবে দারুণ।”
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে তিন নম্বরে ভালো পারফরম্যান্সের পরও এই পজিশনে ৫৯ ইনিংস খেলে ৪ সেঞ্চুরিতে তার গড় ৩৯.৫৯। চার নম্বরে ১০৬ ইনিংস খেলে ১৪ সেঞ্চুরিতে তার ব্যাটিং গড় ৫১.২৭, পাঁচে ৩১ ইনিংস খেলে ৬ সেঞ্চুরিতে গড় ৬৭.৭৭।
গত কিছুদিনে পাঁচ নম্বরে নিয়মিত ছিলেন স্টোকস নিজে। তবে এখন তিনি বোলিং-ব্যাটিং-নেতৃত্বের চাপ সামলাতে নেমে যাচ্ছেন ছয়ে। তাই পাঁচ নম্বরে থিতু কাউকে প্রয়োজন দলের। তিন নম্বরে তো অনেক দিন থেকেই নানাজনকে খেলিয়ে উপযুক্ত কাউকে পায়নি তারা।
এই দুই পজিশনের জন্যই তাই ব্যাটসম্যান খুঁজছেন স্টোকস। ইংল্যান্ড অধিনায়ক বললেন, ঘরোয়া ক্রিকেটের খোঁজ এখন থেকে বেশি রাখতে হবে তাকে।
“জো চারে ও আমি ছয়ে থাকলে ওই জায়গাটায় অভিজ্ঞতার মিশেল থাকে। কাজেই খোলা চোখেই ধরা পড়ছে, কোন পজিশন ফাঁকা আছে-তিন ও পাঁচ নম্বর।”
“আমার মনে হচ্ছে, স্রেফ ডারহামের (নিজের দল) স্কোর দেখার বদলে এখন থেকে আমাকে নিয়মিত কাউন্টি ক্রিকেটের খোঁজখবর রাখতে হবে যে কে কেমন করছে।”
স্টোকসের নেতৃত্বে ইংল্যান্ডের পথচলা শুরু হবে আগামী মাসের শুরুতে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ দিয়ে।