ঈদের ছুটি শেষে ঢাকামুখী যাত্রীদের চাপ
বেড়েছে কয়েকদিন থেকে।
ছাত্তার মাদবর (মঙ্গলমাঝির) লঞ্চ ঘাটের ব্যবসায়ী
লতিফ খান অভিযোগ করে বলেন, রোববার মাওয়ার শিমুলিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া ‘বি এস
নেভিগেশন কোং’ লঞ্চটিতে ৯৬ থেকে ১৩০ জনের ধারণ ক্ষমতার বিপরীতে যাত্রী উঠেছে দুই থেকে
আড়াইশ জন।
“যেভাবে অতিরিক্ত যাত্রী পারাপার করা
হচ্ছে তাতে যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার ঘটতে পারে। এখানে বিআইডব্লিউটিএ, পুলিশ
ও ঘাট কর্তৃপক্ষ দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করছে না।”
তবে অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়ার কথা
অস্বীকার করে এই লঞ্চের সারেং সুমন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা
অতিরিক্ত যাত্রী নিচ্ছি না। স্বাভাবিক যাত্রী নিয়েই যাচ্ছি।”
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, এই ঘাটে সকাল
থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ছেড়ে যাওয়া ছোট লঞ্চগুলোর কোনোটিতেই নিয়ম মানা হচ্ছে না।
ছাত্তার মাদবর লঞ্চঘাটের যাত্রী আসমা
বেগম, জসিম ঢালী, রমজান মিয়ার অভিযোগ, প্রতিটি লঞ্চেই অতিরিক্ত যাত্রী পারাপার
হচ্ছে। বসার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় যাত্রীরা যাচ্ছেন গাদাগাদি করে।
প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকার
কারণে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে বাধ্য হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন এই যাত্রীরা।
তারা বলেন, এখানে কেউ কোনো কথা বলতে পারে
না। কোনো বিষয়ের প্রতিবাদ করলেই যাত্রীদের অপমান করা হয়।
অতিরিক্ত যাত্রী পারাপারের বিষয়টি
অস্বীকার করে ঘাটের ইজারাদার মোকলেজ মাদবর বলেন, “ঈদ উপলক্ষে যাত্রীর চাপ
একটু বেশি। তবে নিয়মিত ফেরি চলাচল করার কারণে লঞ্চে তেমন অতিরিক্ত যাত্রী পারাপার
করা হচ্ছে না।”
জেলা রোভার স্কাউট সদস্য মো. সজীব খান
জানান, জেলা প্রশাসনের নির্দেশে তারা যাত্রীসেবায় মঙ্গলমাঝির ঘাট এলাকায় কাজ
করছেন। সেখানে অব্যস্থাপনা দেখা গেছে।
“গিয়ে দেখি, লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী
বহন ও অতিরিক্ত টোল আদায় করা হচ্ছে। আমাদের উপস্থিতির কারণে অতিরিক্ত যাত্রী বহন ও
টোল আদায় কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে।”
এ বিষয়ে ছাত্তার মাদবর লঞ্চঘাটে
দায়িত্বরত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ এনাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান,
লঞ্চগুলোয় যাত্রী নিয়ন্ত্রণে তারা ‘সতর্ক দৃষ্টি’ রাখছেন।
জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)
মো. কামরুল হাসান সোহেল বলেন, লঞ্চের নিচের লাল দাগ যদি ডুবে না যায় তাহলে
অতিরিক্ত যাত্রী বলা যাবে না।
“লাল দাগ ডুবিয়ে কেউ যাত্রী পরিবহন
করতে পারবে না। আমরা সে বিষয়ে সার্বিক সজাগ দৃষ্টি রাখছি।”